পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে অস্ত্রসহ পাঁচ যুবলীগ ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এলজি, পাঁচ রাউন্ড কার্তুজ, তিনটি ছোরা ও দুটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি এই পাঁচজন ভারতে পালিয়ে থাকা শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ হোসেন খান ও কাতারে পলাতক তার দুই সহযোগী সরওয়ার ও ম্যাক্সনের নামে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলো।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রিটন সরকার জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে গতকাল শুক্রবার ইনকিলাবকে বলেন, শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সহযোগী সরওয়ার ও ম্যাক্সন কাতারে আছে। স্কুল ছাত্রী তাসফিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি একরামও পালিয়ে কাতারে চলে যায়। একরাম যুবলীগের ক্যাডার। গ্রেফতার পাঁচজন জানিয়েছে দেশে কেউ শিবির আর কেউ যুবলীগ হলেও কাতারে তাদের মধ্যে মিলমিশ হয়েছে। তাদের নামে নগরীতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তারা চাঁদা আদায় করে। এই টাকার ভাগ বিদেশে বসে তারাও পায়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে রুহুল আমীন নামে একজন যুবলীগ ক্যাডার গতকাল বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। প্রিটন সরকার বলেন, জবানবন্দিতে রুহুল আমীন বিদেশে পালিয়ে থাকা শিবির ও যুবলীগ ক্যাডারদের নামে কয়েকজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবির করা স্বীকার করে। গ্রেফতার অপর চারজন হলো- মো. তুহিন (২৮), সুজন (২৯) জাবেদ ওরফে ভাগিনা জাবেদ (৩১) ও রনি (২০)। পুলিশ জানায় তারা নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি, আকবর শাহ, অক্সিজেন, মুরাদপুর, হাটহাজারীসহ আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলো। অনেক সময় চাঁদার জন্য বিদেশ থেকে সাজ্জাদ, ম্যাক্সন, একরামরাও ব্যবসায়ীদের ফোন করতো। তাদের নাম শুনে অনেকে ভয়ে চাঁদা দিয়ে দিতেন। ভয়ে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানানোর সাহস পেতেন না। স¤প্রতি নগরীর দুজন ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবিতে হয়রানি করে তারা। একজনের বাড়িতে পেট্রোল বোমাও নিক্ষেপ করা হয়। এই তথ্য পাওয়ার পর বায়েজিদ থানার ওয়াজেদিয়া থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর নগরীর মুরাদপুরের এক গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে তারা। এসময় তারা ওই ব্যবসায়ীকে সরোয়ার, ম্যাক্সন ও একরামের নির্দেশের কথা জানায়। কথামতো চাঁদা না দেওয়ায় ২৩ সেপ্টেম্বর নয়াহাটে তার বাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে ওই ব্যবসায়ী তখন থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর তিনি থানায় গিয়ে মামলা করেছেন।
পুলিশ কর্মকর্তা প্রিটন সরকার জানান, স¤প্রতি উজ্জ্বল দেওয়ানজী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নামে টাকা দাবির অভিযোগ পাই। বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারি সরোয়ার, ম্যাক্সন ও একরাম কাতারে অবস্থান করে গ্রেফতার রুহুল আমীনের মাধ্যমে উজ্জ্বলের কাছ থেকে চাঁদা চেয়েছে। রুহুল আমীনকে গ্রেফতারের পর তার অন্য চার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তিনি।
২০১৭ সালে কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে কাতারে চলে যায় সরোয়ার ও ম্যাক্সন। গত বছর নগরীর পতেঙ্গার নেভাল এলাকায় তাসফিয়া আমিন নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একরামকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছিল। এরপর একরামও পালিয়ে কাতারে চলে যায়। সাজ্জাদ বিগত ২০০৬ সাল থেকে প্রথমে দুবাই পরে ভারতে পালিয়ে আছে। বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসীদের নামে বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে এই প্রথম পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।