Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রোটিনে আগ্রহ কম নারীদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


বাংলাদেশে গর্ভ ধারণকালীন সময়ে প্রসূতি মা ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারীদের মধ্যে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণের প্রবণতা খুবই কম। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ভেজাল খাদ্য ও কম পুষ্টিসম্পন্ন ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করে থাকেন। সঠিক ব্যালান্স ডায়েট ও সুষম খাদ্যতালিকা অনুসরণ না করায় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নারী, গর্ভবতী মা ও তার অনাগত সন্তান নানামুখী জটিলতার সম্মূখিন হোন।

গতকাল রাজধানীর এক হোটেলে ‘পুষ্টি আপডেট সামিট-২০১৯’ শীর্ষক আয়োজিত এক সভায় পুষ্টিবিদরা এসব কথা বলেন।
সামিটে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের পুষ্টি বিভাগের প্রধান শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, দেশে বেশিরভাগ মা গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের ডাবল পুষ্টির প্রয়োজন ভেবেই ভিটামিন জাতীয় বিভিন্ন খাবার খেয়ে থোকে। অথচ গর্ভবতী মা ও সন্তানের কতটুকু মাত্রায় প্রোটিন, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফলিক এসিড গ্রহণ জরুরী এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখান না। এতে করে তাদের দেহে পুষ্টি ঘাটতি ও নানা জটিলতা দেখা দেয়।

অ্যাপোলো হাসপাতালের ডায়াবেটিস বিভাগের প্রিন্সিপাল ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, গর্ভবতী মা ও ডায়াবেটিস রোগীদের সঠিক মাত্রায় প্রোটিন জাতীয় খাদ্য গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা খুব জরুরী। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদদের পরামর্শ ছাড়াই নিজে সুস্থ্য থাকবেন বা তার অনাগত সন্তান পরিপুষ্ট হবে, এমন চিন্তায় অতিরিক্ত মাত্রায় নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। আর সঠিক মাত্রায় পুষ্টি জাতীয় খাদ্য বা ফুড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ না করায় পরবর্তীতে মা ও শিশু উভয়ই বিভিন্ন জটিলতার সম্মুখিন হোন।

সামিটে পুষ্টিবিদরা আরও জানান, বাংলাদেশ ব্রেষ্ট ফিডিং সোসাইটির তথ্য মতে, রাজধানীর বাইরে হাতেগোনা কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া এখন পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে কোন পুষ্টিবিদ নিয়োগ নাই। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ৩০০ জন পুষ্টিবিদ কাজ করছেন। রোগীদের তুলানায় এ সংখ্যা অনেক কম। ফলে অপুষ্টিতে ভোগা অধিকাংশ নারীদের মধ্যে সুষম ও পরিপূরক পুষ্টি সম্পর্কে ধারণা ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণের আগ্রহও কম। তাই গর্ভকালীন সময়ে অপুষ্টিতে ভোগা ও ডায়াবেটিস রোগীদের পরিপূরক পুষ্টিকর খাদ্য বা ফুড সাপ্লিমেন্ট নিয়ে আইবিএলর এ কাজ প্রসংসার দাবি রাখে।

ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সিস বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিএল) ও ফ্রান্সভিত্তিক পুষ্টি জাতীয় খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোন এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই সামিটে ১১২ জন পুষ্টিবিদ অংশ নেন। সামিটে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, আইবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্বপন কুমার মোদক, ইন্ডিয়ান ড্যানোনের সিনিয়র নিউট্রেশন ম্যানেজার ডাক্তার মাধবী মারাঠী, সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং ড্যানোন বাংলাদেশর মার্কেটিং হেড আব্দুল্লাহ আল সোয়েবসহ প্রমুখ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ