পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি, খাদ্য ঘাটতি পূরণ, রফতানি, শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন, উন্নয়ন, বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বহু বিষয়ে বাংলাদেশ রোলমডেল হতে পারে।
তিনি বলেন, আজকে যদি পৃথিবীর সব দেশের অভ্যন্তরীণ অবস্থা পর্যালোচনা করেন, তাহলে দেখবেন ধর্মীয় স¤প্রীতির রোলমডেল হওয়ার জন্য বাংলাদেশ পৃথিবীতে এক নম্বর উদাহরণ হতে পারে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে জাতীয় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ‘বিজা সম্মিলন ২০১৯’ আয়োজনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী একথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের পাশের বাড়ি ছিল হিন্দুদের। ওই বাড়ির সামনেই আমাদের মসজিদ। যে মসজিদে আমরা এখনও নামাজ আদায় করি। মাগরিবের নামাজের যখন আজান দিতেন আমার দাদা, তখন হিন্দুরা উলুধ্বনি দিত। কিন্তু কখনও স¤প্রীতি নষ্ট হয়নি। উলুধ্বনি ও আজানের আওয়াজের কারণে কখনও সাংঘর্ষিক মানসিকতার সৃষ্টি হয়নি। এরকম একটা স¤প্রীতি ছিল আমাদের মাঝে।
শারদীয় দুর্গাপূজা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলো অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে হিন্দু, মুসলমান সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়, মনে হয় যেন এখানে একটি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের একটা মিলনমেলা। এখানে কোনো ভিন্নতা নেই, এখানে কোনো বিভক্তি নেই, এখানে কোনো অস¤প্রতি নেই। এ দেশটারই স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ, সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক শ্রী নির্মল কুমার চ্যাটার্জি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।