পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আংশিক কমিটি দিয়েই মেয়াদ পূর্ণ করতে চলেছে জাতীয়তাবাদী যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। নির্ধারিত মেয়াদের শেষ দিকে এসে পূর্ণাঙ্গ হতে চলেছে বিএনপির এ দুই অঙ্গসংগঠন। তাও আংশিক কমিটিতে পদ পাওয়া নেতাদের আন্তরিকতায় নয়, বরং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে। তারেক রহমান উভয় সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সাথে স্কাইপে বৈঠক করে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে যুবদল এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া তালিকা জমা দিতে বলেছেন। এরপরই উভয় সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার খবরে পদপ্রত্যাশী ও সাবেক নিষ্ক্রিয় নেতারা সক্রিয় হচ্ছেন। তাদের অনেকেই নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হচ্ছেন। অনেকে মোবাইলে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং করছেন ভালো পদের আশায়।
যুবদল : বর্তমানে যুবদলের কেন্দ্রীয় আংশিক কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ৫ জন নেতা। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি রাতে সংগঠনের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও মহানগর দক্ষিণের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির নেতারা হলেন- সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম নয়ন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান। সর্বশেষ গত ৯ অক্টোবর রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর নেতাদের সাথে স্কাইপে বৈঠক করেন তারেক রহমান। বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা শেষে আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেন তিনি। তবে এই পূর্ণাঙ্গ কমিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি। এরপরই কাউন্সিলের মাধ্যমে যুবদলের নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে বলে তারেক রহমান যুবদলের নেতৃবৃন্দকে নির্দেশ দেন।
স্বেচ্ছাসেবক দল : ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীকে মনোনীত করা হয়। পরের বছর ১ মে স্বেচ্ছাসেবক দলের উত্তর ও দক্ষিণ শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি করা হয় এস এম জিলানীকে আর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। এই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন আব্দুল কাদের ঝিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার। আর ঢাকা উত্তরের সভাপতি করা হয় ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ। এই কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক আজিজুর রহমান মোছাব্বির এবং সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদুরকে। উভয় কমিটিকেই এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করতে বলা হয়।
তিন বছরের কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৬ অক্টোবর। দীর্ঘ সময়েও কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি। অবশেষে তারেক রহমান আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের এবং ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ১৪ অক্টোবর বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ৭ নেতা এবং দুই মহানগরের ৪ জন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে স্কাইপে বৈঠকে এই নির্দেশ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
সংগঠনটির নেতারা জানান, দীর্ঘদিনেও কেন্দ্রীয় ও মহানগর কোনোটিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ১১ জন নেতাকে ডেকে নিয়ে স্কাইপে কথা বলেন তিনি। এ সময় কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতাদের তিনি নির্দেশ দেন আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে দুই মহানগরের স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তার কাছে পাঠাতে হবে। আর কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের সময় দেন ২৫ অক্টোবরের মধ্যে।
সভায় উপস্থিত এক নেতা জানান, ২৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার পর আবারও শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। সেদিন তিনি পরবর্তী করণীয় এবং সংগঠন পরিচালনায় দিকনির্দেশনা দেবেন। এ ছাড়া কমিটি ঘোষণার পর বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিনিধি সম্মেলন করা হবে বলেও জানান তিনি।
পদপ্রত্যাশীরা তৎপর : এ দিকে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার খবরে দীর্ঘদিন পদবঞ্চিত থাকায় পদপ্রত্যাশী নেতারা সক্রিয় এবং তৎপর হচ্ছেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, ১/১১-এর জরুরি অবস্থা-পরবর্তী অন্তত ১১ বছরের রাজনীতিতে খেয়ে-না খেয়ে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন। অনেকেই জেল খেটে, পালিয়ে বেড়িয়ে একে একে ঝরে গেছেন। অনেকেই গত ১৩ বছর রাজনীতিতে কিছুই পাননি। অথচ দলের ঘানি টানতে টানতে তারা এখন ক্লান্ত, নিষ্ক্রিয়। হয়তো এক সময় হারিয়েই যাবেন। ছাত্রদলের বিগত তিনটি কমিটির সাবেক নেতাদের প্রায় সবারই অংশগ্রহণ আছে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে। যারা দুঃসময়ে শত শত লোক নিয়ে মিছিল-মিটিং করেছে। কিন্তু উভয় সংগঠনের সাবেক এবং ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের অধিকাংশই এখন সাংগঠনিক পরিচয়হীন। রাজনীতিতে কোনো পদ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। তবে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সামনে আশার আলো দেখছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
পদহীন ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের অন্যতম্য হলেন- ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক দফতর সম্পাদক সরদার মো. নূরুজ্জামান, টুকু-আলিম কমিটির সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান পলাশ, বিল্লাল হোসেন তারেক (দফতর সম্পাদক), জাবেদ হাসান স্বাধীন, শহীদুল্লাহ ইমরান, তরুণ দে, রুহুল ইসলাম মনি, জুয়েল-হাবিব কমিটির সহ-সভাপতি আহসান উদ্দিন খান শিপন, আব্দুল হালিম খোকন, আনোয়ারুল হক রয়েল, সাইদুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, কামাল আনোয়ার আহাম্মদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মিশু, সহ-সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক রুবেল, জসীম উদ্দীন খানসহ কয়েকজন। সদ্য বিদায়ী রাজীব-আকরাম কমিটির সাবেক সহ-সভাপতিদের মধ্যে- এজমল হোসেন পাইলট, মহিদুল হাসান হিরু, আলমগীর হাসান সোহান, নাজমুল হাসান, মনিরুল ইসলাম মনির, মামুন বিল্লাহ, সাদিউল কবির নীরব, আব্দুল ওহাব, নিয়াজ মাখদুম মাসুম বিল্লাহ, ইসতিয়াক নাসির, ইখতিয়ার রহমান কবির, আহমেদ সাইমুম, জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, আবু আতিক আল হাসান মিন্টু, জয়দেব জয়, তরিকুল ইসলাম টিটু, ফেরদৌস মুন্না, খন্দকার এনামুল হক, মুকিত ভূঁইয়া লিঙ্কন, মনিরা আক্তার রিক্তা, যুগ্ম সম্পাদকদের মধ্যে- আসাদুজ্জামান আসাদ, মিয়া মো. রাসেল, আবুল হাসান, নূরুল হুদা বাবু, আব্দুল করিম সরকার, মফিজুর রহমান আশিক, বায়েজীদ আরেফিন, সামসুল আলম রানা, কাজী মোকতার হোসেন, মির্জা ইয়াসিন আলী, সেলিনা সুলতানা নিশিতা, মেহবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক মুন্না, শফিকুল ইসলাম শফিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক আরিফা সুলতানা রুমা, নাসিমা আক্তার কেয়া, রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রেদওয়ান বাবু, মো. উজ্জ্বল হোসেন, শাহীনুর বেগম সাগর, আমীর আমজাদ মুন্না, কাজী ইফতেখারুজ্জামান শিমুল, নাদিয়া পাঠান পাপন, সঞ্জয় দে রিপন, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম রিপন, সমাজসেবা সম্পাদক আব্দুর রহিম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আহসানুল হক শুভ্র, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আরজ আলী শান্ত অন্যতম। সাবেক নিষ্ক্রিয় নেতাদের মধ্যে সক্রিয় হচ্ছেন মাইন উদ্দিন তিতাস, মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, কাজী শাহিনুল হক ও গিয়াস হায়দারসহ অনেকেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।