পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজশাহী অঞ্চলে হেমন্তের আকাশে সাদা মেঘের বদলে এখন কালো মেঘের ঘনঘটা। গত দু’দিন ধরে সূর্য মুখ লুকিয়ে আছে মেঘের আড়ালে। একটি বারের জন্য উকিঁ দেয়নি। ঝরছে শ্রাবণের মত বৃষ্টি। বিরতিহীন বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। আবহাওয়া অফিসের হিসাবে গত দু’দিনে বৃষ্টি ঝরেছে ৯২ মিলি মিটারের বেশি। বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও একে আর্শীবাদ হিসাবে দেখা হচ্ছে। এখন আমনের ভর মওসুম। এ সময় বৃষ্টি বেশ উপকার বয়ে এনেছে। যদিও সরিষা আবাদ খানিকটা বিলম্বিত করবে।
এদিকে দু’দিনের টানা বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আগাম আবাদ করা শীতকালীন শাকস্বব্জী চাষিদের। এর আগে একদফা হঠাৎ পদ্মার বন্যায় নদী তীরবর্তী এলাকায় শাকস্ব্জীর ক্ষেত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধু চরাঞ্চলের তিন হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়। এখন বিরতিহীন বৃষ্টির কারণে মাঠে নামতে পারছেনা কৃষক। বাধাকপি ফুলকপি মূলা ঢ়েড়স পটলসহ শাকস্বব্জীর ক্ষেতে পানি জমেছে। অনেকে জমির মাঝখানে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর কেটে উঁচুপাড় বাধায় পানি বের হবার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। অপেক্ষা পানি নীচের দিকে নেমে যাওয়া। আর মেঘ কেটে রোদ্র হওয়া।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: শামসুল হক বলেন বৃষ্টি আমনের সহায়ক হয়েছে। ভারী বর্ষন আর ঝড়ো হাওয়া হলে সর্বনাশ হতো। রাজশাহীর নয় উপজেলায় চলতি মওসুমে প্রায় পচাত্তর হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এখন ধানে শীষ ফুটেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করেছে। দিন খেটে খাওয়া মানুষ কাজের সন্ধানে ঘরের বাইরে এলেও কাজ মেলেনি। রাস্তাঘাটও ফাঁকা ফাঁকা। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় মানুষ ঘরে বসে সময় কাটিয়েছে। জুম্মার নামাজের সময় মুসল্লিদের দেখা গেলেও বাকী সময় রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। বড় বড় বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। কাঁচা বাজারে লোক সমাগম ছিল কম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ ধরতে না পারা আর ক্ষেতে থেকে শাকস্ব্জী না উঠানোয় এসবের সরবরাহ ছিল কম। আবহাওয়া অফিস জানায়, শনিবার দুপুরের পর আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। সাধারন মানুষ এ বৃষ্টিকে শীতের আগমনি বার্তা হিসাবে দেখছে। তাদের কথা হলো মেঘ কেটে গেলেই মাঘের শীত জেঁকে বসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।