Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গ্রামীণফোন কত দিতে পারবে জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট

বিটিআরসির পাওনা অর্থ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার মধ্যে ন্যূনতম কত টাকা গ্রামীণফোন পরিশোধ করতে পারবে, তা জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের তা জানাতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন ও শেখ ফজলে নূর তাপস। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া ও আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মাহবুবে আলম ও খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

আদেশের পর রেজা-ই-রাকিব সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রথমে আমরা আবেদন করেছিলাম। পরে লিখিত আদেশ পাওয়ার পর বুধবার লিভ টু আপিল ফাইল করেছিলাম। আদালত দুই পক্ষকেই শুনেছেন। কতগুলো পর্যবেক্ষণ দিয়ে আদালত বলেছেন, নিম্ন আদালতে টাইটেল স্যুট না করে স্যুট ফর অ্যাকাউন্টসে করা উচিত ছিল। এছাড়া গ্রামীণফোনের আইনজীবীদের নির্দেশনা নিতে বলেছেন, এখন তারা ন্যূনতম কত টাকা দিতে পারবে। এরপর আগামী বৃহস্পতিবার আদালত আদেশ দেবেন।

বিটিআরসির দাবি অনুযায়ী, নিরীক্ষা আপত্তিতে গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ও রবি আজিয়াটার কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে সরকারের। গত এপ্রিলে বকেয়া দাবি করে গ্রামীণফোন ও রবিকে নোটিস পাঠায় বিটিআরসি। অর্থ পরিশোধে অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময় দেয়া হয়। তবে এ সময়ের মধ্যে নিরীক্ষা আপত্তির পাওনা অর্থ পরিশোধ না করায় গত ৪ জুলাই দুই সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি সীমিত করার নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।

ওইদিন গ্রামীণফোনের ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ৩০ শতাংশ ও রবির ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি ১৫ শতাংশ সীমিত করতে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরকে নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। গ্রাহকের সমস্যার কারণ দেখিয়ে ১৩ দিন পর ওই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় বিটিআরসি। তবে অর্থ আদায়ে অপারেটর দুটির অনাপত্তি (এনওসি) প্রদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বলে ওই সময় জানানো হয়। পরবর্তী সময়ে অপারেটর দুটির এনওসি প্রদান বন্ধ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

ব্যান্ডউইডথ ক্যাপাসিটি সীমিত ও অনাপত্তি প্রদান বন্ধের পর নিরীক্ষা আপত্তির পাওনা অর্থ আদায়ে দুই সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর অপারেটর দুটিকে চিঠি দেয় বিটিআরসি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১-এর ৪৬ (২) ধারা অনুযায়ী সেলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন এবং রবির টুজি ও থ্রিজি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, ৩০ দিনের মধ্যে তার কারণ দর্শানোর জন্য এ নোটিস দেয়া হয়। নোটিসের জবাবেও অপারেটর দুটি নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ত্রুটির বিষয়গুলো তুলে ধরে। এর আগেই ঢাকার দেওয়ানি আদালতে আলাদাভাবে দুটি মামলা করে গ্রামীণফোন ও রবি। গত ২৫ আগস্ট মামলা করে রবি। আর গ্রামীণফোন মামলা করে ২৬ আগস্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ