পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
্আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার আগেভাগেই শুরু হয় শীতকালীন সবজি উৎপাদন। সারাদেশের মাঠ ভরে গেছে সবজিতে। ইতোমধ্যে বাজারেও আগাম শীতকালীন সবজি বেচাকেনা হচ্ছে পুরাদমে। চাষিরা মূল্যও ভালো পাচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ফিল্ড সার্ভিস উইং এর পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডিদাস কুন্ডু গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, সারাদেশেই সবজির উৎপাদন হচ্ছে ব্যাপক। সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় এবার বেশ আগেভাগেই শীতকালীন সবজি উৎপাদন হয়েছে। এই মুহুর্তে শীতকালীন প্রায় ২লাখ হেক্টর এবং আগাম প্রায় প্রায় ১লাখ হেক্টর মোট ৩লাখ হেক্টর জমিতে সবজি রয়েছে। হালকা ছিটেফোঁটা বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন খুবই ভালো হচ্ছে। শুধু সরিষা বপনন একটু লেট হচ্ছে। তবে ১৫নভেম্বর পর্যন্ত সরিষা আবাদের সুযোগ রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারা বলেছেন, মূলত ১৫ অক্টোবর থেকে শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এবার যশোর, নরসিংদী, কুমিল্লা ও রংপুরসহ সারাদেশের ‘ভেজিটেবল জোন’ এলাকার মাঠ ভরে গেছে আগাম শীতকালীন সবজিতে। পুরাদমে চলছে শীতকালীন সবজির আবাদ ও উৎপাদন। চলতি মৌসুমে সবজির বাম্পার ফলন হবে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাষিরা জানান, শিম, বেগুন, মুলা, পটল, লাউ, পাতাকফি ও বাধা কফিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি প্রতিদিনই মাঠ থেকে কমবেশি বাজারে উঠছে। সবজি চাষিরা জানান, পাইকারী ব্যবসায়ী, আড়তদার, মুনাফালোভী ও সিন্ডিকেটের লাগাম টেনে ধরা দরকার এখনই। তাদের কারণে উৎপাদক সবজি চাষি ও সাধারণ ভোক্তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। একথার সাথে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ কর্মকর্তারাও দ্বিমত পোষণ করেননি।
মাঠ কর্মকর্তারা কৃষিবিদ ড. মো. আখতারুজ্জামান জানান, এবার সবজি আবাদ মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া খুবই উপযোগী ছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেভাগেই চাষিরা উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েন। ইতোমধ্যে তারা ভালো ফলও পাচ্ছেন। তিনি জানালেন, বাজারে প্রচুর আগাম শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইং সূত্র জানায়, সারাদেশে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন দু’টি মৌসুমে সবজি আবাদ হয় ৭ লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। মোট উৎপাদন হয় ১কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে বড় অংশই হয় শীতকালে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শীতকালীন সবজির আবাদ ও উৎপাদন চলবে আগামী মার্চ পর্যন্ত।
সূত্র জানায়, সবজির রাজধানী খ্যাত যশোর অঞ্চল থেকে দেশের মোট সবজি চাহিদার একটা অংশের যোগান হয়। বন্যামুক্ত এবং উচু এলাকা হওয়ায় সারাবছরই সবজি উৎপাদন হয় যশোরে। এই অঞ্চলে শুধু মাঠে নয়, চাষিদের ঘরের আঙিনায় ও এমনকি যাতায়াতের পথ রেখে বহু চাষির উঠান জুড়ে বাণিজ্যিকভাবে সবজি আবাদ ও উৎপাদন হয়। অন্যান্য ফসলের মতো এখন আর শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন সবজির পার্থক্য খুব একটা নেই। সবজি উৎপাদনে পাল্টে গেছে গতানুগতিক ধারা। উল্লেখ্য, টানা প্রায় দেড় যুগ ধরে যশোর অঞ্চল সবজি আবাদ ও উৎপাদনে শীর্ষ স্থান ধরে রাখছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।