পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঘাতকদের জিঘাংসা আর বিকৃত রুচির পৈচাশিকা যেন থাকছেই না। খুলনা ও নারায়ণগঞ্জের পর এবার বগুড়ায় পায়ু পথে বাতাস ঢুঁকিয়ে শিশু শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে। বগুড়ার কাহালুতে যতন কর্মকার নামের এক শ্রমিক অপর শিশু শ্রমিক ১২ বছর বয়সী আলাল হোসেন ফকিরের পায়ু পথে বাতাস ঢুঁকিয়ে হত্যা করেছে।
এর আগে ২০১৬ সালে ৩ আগস্ট খুলনার টুটপাড়া কবরখানা মোড়ে পায়ুপথে পেটে বাতাস ঢুকিয়ে পৈশাচিক কায়দায় শিশু শ্রমিক রাকিবকে হত্যা করা হয়েছিল। অতপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের যাত্রামুড়া এলাকায় জোবেদা টেক্সটাইল মিলে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে ১০ বছর বয়সী শ্রমিক সাগর বর্মণকে হত্যা করা হয়। ওই দুই ঘটনায় দেশ-বিদেশে তোলপাড় হয়েছে। খুনিদের বিচারের দাবিতে আন্দোলনও হয়েছে। রাকিব হত্যা মামলায় দুই আসামী শরিফ ও মিন্টু খানকে ফাঁদির আদেশ দেয়া হয়। আর সাগর বর্মণকে হত্যার পর নারায়ণগঞ্জের জোবেদা টক্সটাইলে অভিযান চালিয়ে ২৭ শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
বগুড়ায় আলাল হোসেন ফকিরকে পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যার বিবরণে পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার বগুড়ার কাহালু উপজেলার আফরিন জুট মিল নামের ওই কারখানায় সকালের শিফটে কাজ করার সময় আলালের পায়ু পথে হাওয়া মেশিনের মাধ্যমে জোর করে বাতাস ঢুঁকিয়ে দেয় যতন কর্মর্কার। শিশু শ্রমিক আলালের আত্মচিৎকারে অন্যান্য শ্রমিকরা এগিয়ে আসেন। তখন আলাল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল এবং বাঁচার আকুতি করছিল। পেটের ভিতরে বাতাসে আলালের পেট ফুলে যায় এবং গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে যতন কর্মর্কার পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্রমিকরা যাতে ধরে ফেলে। শ্রমিক ও স্থানীয়দের চাপে যতন কর্মকার বাধ্য হয়ে অসুস্থ আলাল ফকিরকে চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতালে আলালের মৃত্যু হয়। সময় যতন পালানোর চেষ্টা করলে হাসপাতালের লোকজনের সহায়তায় ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজ মন্ডল ঘাতক যতন কর্মকারকে আটক করে। জুট মিলটির অবস্থান কাহালু থানায় হওয়ায় তাকে কাহালু থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত যতন কুমার শাজাহানপুর উপজেলার খরনা এলাকার সন্তোষে কর্মকারের পুত্র। নিহত আলাল হোসেন ফকির কাহালু উপজেলার ঢাকন্তা গ্রামের মোজাহার ফকিরের ছেলে।
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, নিহত আলাল হোসেন ফকির ও আটক যতন চন্দ্র কর্মকার দু’জনই আফরিন জুট মিলে পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতো। শুক্রবার সকালে হাওয়া মেশিন দিয়ে মিলের পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিল তারা। এসময় হঠাৎ করে যতন হাওয়া মেশিন দিয়ে আলালের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দেয়। এতে আলাল গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই যতন চন্দ্রকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে আলালের পরিবার এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।