পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হরিপুর উপজেলার কান্দাল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ ৫ দিন পর ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার ভারতের খোচাবাড়ী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা এ লাশ হস্তান্তর করে। এর আগে সকালে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ এর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় অবৈধ ভাবে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফ এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক শ্রীকান্ত রায় (৩০) হরিপুর উপজেলার আমগাঁও কালচা গ্রামের খেলু রামের ছেলে।
শ্রীকান্তের বাবা খেলু রাম জানান, গত সোমবার থেকে লাশ ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আজ লাশ ফেরত দিবে, কাল দিবে এমন করে গত সোমবার থেকে সীমান্তে দাঁড় করিয়ে রেখেছে ভারতের খোচাবাড়ী ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা। আমরা সবাই আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। মনে করেছিলাম লাশ ফেরত দেবে না। অবশেষে ছেলের লাশ পেলাম, সে পেটের দায়ে কাজের খোঁজে ভারত গেলো ফিরলো লাশ হয়ে।
কান্দাল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা জানান, গত সোমবার থেকে লাশ ফেরতের জন্য বিএসএফ সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে চলেছি। অবশেষে আজ সকালে আমাদের পত্রে সাড়া দিলে উভয় দেশের পতাকা বৈঠক হয়। পরে তারা নিহত যুবকের লাশ ফেরত দেয়।
লাশ ফেরতের সময় হরিপুর থানার ওসি তদন্ত আব্দুস সবুর, কান্দাল ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা, নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত রবিবার সন্ধ্যার সময় ভারতের পাঞ্জাবে ইটভাটায় কাজ করার উদ্দেশ্যে অবৈধ পথে কান্দাল সীমান্ত দিয়ে ভারতের খোচাবাড়ী ক্যাম্পের সন্নিকটে পৌঁছালে বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় শ্রীকান্ত। সারারাত সীমান্তে পড়েছিল নিহত শ্রীকান্তের লাশ। মঙ্গলবার সকালে খোচাবাড়ী সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা লাশ তুলে নিয়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও ৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এসএনএম সামীউন্নবী চৌধুরী জানান, আইনী জটিলতার কথা বলে লাশ ফেরত দিতে দেরি করেছে বিএসএফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।