পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা নাগাদ আরও কিছুটা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের অন্ধ্র-ওডিশা উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের সক্রিয় প্রভাবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এ সময় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় রাজশাহী বিভাগের তাড়াশে ৪৪ মিলিমিটার। তাছাড়া ঢাকায় ৮, টাঙ্গাইলে ৩৪, ফরিদপুরে ২০, গোপালগঞ্জে ৩১, ময়মনসিংহে ১৫, চাঁদপুরে ৪, সিলেটে ৮, রাজশাহীতে ৩২, ঈশ্বরদিতে ৩৫, বগুড়ায় ১০, খুলনায় ৩৫, যশোরে ১৮, চুয়াডাঙ্গায় ৩৭, কুমারখালীতে ৩৯, বরিশালে ১৪, ভোলায় ২৭ মি.মি.সহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টিপাত হয়েছে কমবেশি।
গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩৪.৫ এবং সর্বনিম্ন নিকলিতে ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ২৪.৫ এবং সর্বনিম্ন ২২.৮ ডিগ্রি সে.। সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে এবং সেই সাথে হেমন্তের স্বাভাবিক আবহাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানভেদে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, হালকা শীত ও কুয়াশা পড়ছে। আবার অনেক জায়গায় দিনের বেলায় গরমের তেজও কম নয়। মিশ্রিত আবহাওয়ায় সর্দি-কাশি, ভাইরাস জ্বরসহ বিভিন্ন রোগব্যাধির প্রকোপও দেখা দিচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, ভারতের অন্ধ্র উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে উপকূলীয় অন্ধ্র প্রদেশ-ওডিশা এবং পাশ^বর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানর করছে।
তবে আপাতত সমুদ্র বন্দরসমূহকে কোনো সতর্ক সঙ্কেত দেখাতে হচ্ছে না।
আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপবিবর্তিত থাকতে পারে।
পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসতে পারে।