পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাশিয়া হতে বাবলার ট্যাংক শিপমেন্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ শুরু করেছে রুশ কোম্পানী জিও-পাদলস্ক। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশনের মেশিনারি প্রস্তুতকারী ডিভিশন-এটমএনার্গোমাশের অধীনস্ত একটি প্রতিষ্ঠান এই জিও-পাদলস্ক।
সূত্র মতে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বাবলার ট্যাংক একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস, যা রিঅ্যাক্টর প্ল্যান্ট প্রেসারাইজার সিস্টেমের একটি অংশ। ১৫ টন ওজনের ট্যাংকটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ মিটার, উচ্চতা ৪মিটার, ব্যাস ২.৫মিটার। এটির সার্ভিস লাইফ ৪০বছর। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য নির্মিত বাবলার ট্যাংকের কারিগরি ডিজাইন করেছেন, গিদ্রোপ্রেস নামের একটি রুশ প্রতিষ্ঠান। এর ডিজাইন ডকুমেন্ট করেছে জিও-পাদলস্কের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প যন্ত্রপাতি বিভাগ। এই বিভাগটি প্রস্তুত সহায়তা বাদেও ইন্সটলেশন তত্ত্বাবধান সেবাও প্রদান করে থাকেন।
জিও-পাদলেস্কর বাবলার ট্যাংক রাশিয়া এবং রাশিয়ার বাইরে বিভিন্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সফলভাবে কাজ করছে বলে সূত্র জানায়। যার মধ্যে রয়েছে চীনের তিয়ানওয়ান, ভারতের কুদানকুলাম এবং রাশিয়ার লেনিনগ্রাদ ও রস্তফ বিদ্যুৎকেন্দ্র।
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের রিঅ্যাক্টর হলের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে এটমএনার্গোমাশ। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি টার্বাইন হলের অধিকাংশ যন্ত্রপাতি সরবরাহের দায়িত্ব পালন করছে। বাষ্প জেনারেটর, পাম্প ও হিট-এক্সচেঞ্জ যন্ত্রপাতিও সরবরাহ করে থাকে এটমএনার্গোমাশ। রুশ কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশের পাবনার পাকশী রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২টি ৩ প্লাস রুশ ভিভিইআর রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত : চলতি মাসের প্রথমার্ধে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের রিঅ্যাক্টর বসানোর কাঠামো স্থাপনের জটিল কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই কাঠামোটির মূল কাজ হলো রিঅ্যাক্টরকে যথাস্থানে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখা ও ভার বহন করা।
রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন (রসাটম)-এর প্রকৌশল শাখা এটমস্ত্রয় এক্সপোর্ট -এর প্রণীত নকশা অনুসারে কাঠামোটি স্থাপন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।