পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সন্তানের জীবিকার পথ রুদ্ধ করার পাশাপাশি বসতভিটা কেড়ে নেয়ার কষ্ট সইতে না পেরে মুত্যুশয্যায় থেকে মুক্তিযোদ্ধার শেষ সম্মানটুকুও না নেয়ার ইচ্ছে ব্যাক্ত করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেন। শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের আপত্তির মুখে গতকাল বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা (গার্ড অব অনার) ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়েছে। দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিমের কাছে ২১ অক্টোবর এমন একটি চিঠি লেখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেন। সেই চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়। কারণ এসিল্যান্ড, ইউএনও, এডিসি, ডিসি যারা আমার ছেলেকে চাকরিচ্যুত, বাস্তুচ্যুত করে পেটে লাথি মেরেছে, তাদের সালাম-স্যালুট আমার শেষ যাত্রার কফিনে চাই না। ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করিও।
দিনাজপুর সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেন পিতৃস্নেহে চিঠিতে যা লিখে গেছেন, তার মূল কথা হলো জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির সুপারিশে ছেলে নুর ইসলামের নো ওয়ার্ক নো পে ভিত্তিতে গাড়িচালক হিসেবে কাজ পান। পরবর্তীতে তাকে কাজ থেকে বিরত করা হয়। অভিযোগ মতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন ফল হয়নি। ফলে ছেলের অসহায়ত্ব দেখে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। যা তার লেখা চিঠিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, ঠুনকো অজুহাতে আমার ছেলেটিকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তাকে চাকরি ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করো। আমার বয়স প্রায় ৮০ বছরের কাছাকাছি। ছেলেটি হঠাৎ চাকরিচ্যুত হওয়ায় একে তো আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ তারপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হঠাৎ যদি আমার মৃত্যু হয় আমাকে যেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন না করা হয়।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাধারণ) কে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্ট করা হলেও ৗপাশ থেকে তা রিসিভ করা হয়নি।
তবে মুক্তিযোদ্ধা মো. ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন হুইপ এম ইকবালুর রহিম। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।