পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পথচারীদের নিরাপদে সড়ক পারাপার নিশ্চিত করতে রাজধানীর আসাদ অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গ্রীনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যালের উদ্বোধন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে নির্মিত ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যালের উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম।
উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, ডিজিটাল পুশ বাটন সিগন্যাল বানানোর উদ্দেশ্য নিরাপদ সড়ক তৈরি করা। আমরা নিরাপদ সড়ক ও শহর চাই। সড়কে আইন মানার আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, আইন মানলে আমরা সুনাগরিক হবো, না মানলে খারাপ নাগরিক হয়ে যাব। তাই সবাইকে আইন মানতে হবে। পুশ বাটন সিগন্যালে ক্যামেরা লাগানো আছে। পথচারী পারাপারের সময় যদি কোনো গাড়ি আইন না মানে, তাহলে ওই গাড়ির বিরুদ্ধে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলা হয়ে যাবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, শিক্ষক এবং বাবা-মা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন শিক্ষকরা বকা দিলে মন খারাপ হয়ে যেত। জীবনের এই পর্যায়ে এসে বুঝেছি, তাদের বকা দেওয়াটা আমাদের ভালোর জন্যই। সুতরাং শিক্ষকদের এবং পিতা-মাতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। কারণ তারা চায় আমরা একজন ভালো এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠি।
আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, আজকে আমি আরও একটি ঘোষণা দিতে চাই, ঢাকা শহরে আমরা ১৫টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করেছি। এই ফুটওভার ব্রিজগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এস্কেলেটর বসানো হচ্ছে। আমার অনুরোধ থাকবে, সবাই যেন ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে।
গ্রিনহেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল সিস্টার ভার্জিনিয়া আশা গোমেজের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই, পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা, স্মার্ট ট্রাফিক লাইট সিস্টেম’র স্থপতি সারাক রউফ চৌধুরীসহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর আদলে ডিজাইন করে পুশ বাটন সিগন্যাল তৈরি করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল (টিইসি) সিগন্যালগুলো বসানোর কাজ করছে। পথচারীদের যত্রতত্র সড়ক পারাপারের ঝুঁকি এড়াতে এবং বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ, প্রতিবন্ধী ও অন্ধ পথচারী এবং যানবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতের উদ্দেশ্য নিয়ে বসানো হচ্ছে এসব সিগন্যাল।
এই সিগন্যালে সড়ক পারাপারে ইচ্ছুক কোনো পথচারী পুশ বাটনে চাপ দিলে ডিজিটাল সিগন্যালে একটি কাউন্টডাউন শুরু হবে। নির্ধারিত সময় শেষ হলে পথচারীদের জন্য সবুজ সংকেত ভেসে উঠবে সিগন্যালে। অন্যদিকে যানবাহন চালকদের জন্য ভেসে উঠবে লাল সংকেত। অন্ধ পথচারীদের জন্য এই ডিভাইসে আছে ভয়েস নির্দেশিকা সুবিধা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।