পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘ক্যাসিনো নিধনে’ শুধু চুঁনোপুটিই নয়, রাঘব-বোয়াল এবং হাঙ্গারদের কলিজায় কাঁপনি ধরেছে। দুদক, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক একে একে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ফাঁস হচ্ছে অনেকের নাম, যারা রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবশালী এবং বিশিষ্টজন। দুদক এবং বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সম্পর্কে সব ধরনের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। ফলে যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, ওয়ার্ড কমিশনারদের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান এমপিদের ভীত নড়ে উঠেছে। টানা ১০ বছর ধরে যারা বৈধ-অবৈধ, ন্যায়-অন্যায় পথে অর্থের পাহাড় গড়েছেন তাদের কেউ স্বস্তিতে নেই। এই তালিকায় বর্তমান সংসদের এমপি ও সাবেক মন্ত্রীদের সংখ্যাও কম নয়। এই সংখ্যাও প্রায় অর্ধশত। পর্যায়ক্রমে এদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
গতকালও দুর্নীতি দমন কশিমন সুনামগঞ্জ-১ আসনের আওয়ামী লীগের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সরকারদলীয় এমপি শামশুল হক চৌধুরীর দেশত্যাগের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর আগে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসেব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। ক্যাসিনো কান্ডে জড়িয়ে গেছে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপির নাম। এ ছাড়াও বিগত আওয়ামী লীগের বিগত সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রী বর্তমানে ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলের সভাপতি ও প্রভাবশালী একজন এমপি, সাবেক মন্ত্রী এবং বর্তমানে এমপি এমন কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। সুত্রের দাবি পর্যায়ক্রমে এদের ব্যাংক হিসেব তলব করা হবে এবং বিদেশে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হবে।
২২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ক্যাসিনোকান্ডে সংশ্লিষ্ট এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী ২২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার সংস্থার পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) ইমিগ্রেশনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন।
দুদক সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় ইতিপূর্বে প্রকাশকৃত ৪৩ জনের তালিকার মধ্য থেকে যাদের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু হয়েছে কিংবা মামলা হয়েছে তাদের মধ্য থেকে ২২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, ভোলা-৩ আসনের এমপি নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন, জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের সরকারদলীয় এমপি শামশুল হক চৌধুরীর নাম রয়েছে। গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভুইয়ার গমণাগমনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাদের দুই সহযোগী হারুনুর রশিদ, আবুল কালাম আজাদ (আজাদ রহমান), জিকে বিল্ডার্সের মালিক গোলাম কিবরিয়া শামীম, ইসমাইল হোসেন চৌধুরি সম্রাট ,তার সহযোগী এনামুল হক আরমান, খালেদ মাহমুদ ভুইয়া, সাবেক যুবলীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজ, অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান, মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভুইয়া, তার স্ত্রী নাবিলা লোকমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (মিজান), একেএম মমিনুল হক সাঈদ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি প্রশান্ত কুমার হালদার, কাকরাইলস্থ জাকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. জাকির হোসেন, সেগুনবাগিচার শফিক এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম, গণপূর্ত অধিদফতরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সাবেক অতিরিক্ত প্রকৌশলী মো. আব্দুল হাই রয়েছেন। দুদক পরিচালকের চিঠিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দেশে মানিলন্ডারিংসহ বিদেশ অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানে বিষয়টির প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ছেড়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তারা যাতে দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করে সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের টিম। উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, সালাউদ্দিন আহমেদ, সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী ও মোহাম্মদ নেয়ামুল আহসান গাজী টিমের অন্য সদস্য। টিমের সদস্যরা ইতিমধ্যেই জিকে শামীম, তার মা আয়েশা আক্তার, খালেদ মাহমুদ ভুইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।