Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফিটনেসবিহীন গাড়িতে তেল নয়

হাইকোর্টের নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের জ্বালানি সরবরাহ না করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ফিটনেসবিহীন সাড়ে ৪ লাখ যানবাহন নবায়ন করতে আরো ২ মাস সময় বেধে দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচরপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে গাড়ির ফিটনেস সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি-বিআরটিএ। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে হাইকোর্টের বেধে দেয়া ২ মাস সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র ৮৯ হাজার ২৬৯ গাড়ি ফিটনেস নবায়ন করেছে। গত ২৩ জুলাই এক আদেশে ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো ২ মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তারও আগে ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এটি সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়। পরে মঈন ফিরোজী জানান, ফিটনেসবিহীন যত গাড়ি রাস্তায় চলছে তাদের গ্যাস-ফুয়েল সরবরাহ বন্ধ করার আদেশ দেন। সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি এটনিজেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, দুই মাস অথবা ফিটনেস নবায়ন না করা পর্যন্ত তাদের জ্বালানি সরবরাহ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরবর্তী আদেশের জন্য ১০ জানুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিআরটিএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩২০। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২ লাখ ৬১ হাজার ১১৩, চট্টগ্রামে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৮, রাজশাহীতে ২৬ হাজার ২৪০, রংপুরে ৬ হাজার ৫৬৮, খুলনায় ১৫ হাজার ৬৬৮, সিলেটে ৪৪ হাজার ৮০৫ এবং বরিশাল বিভাগে ৫ হাজার ৩৩৮ গাড়ি ফিটনেসবিহীন রয়েছে। গত ২৪ জুন আদালত সারা দেশের ফিটনেসবিহীন গাড়ির তথ্য জানতে চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন ১৯৮৩ এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না সেটিও জানতে চাওয়া হয়। রিটে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ ডিরেক্টর ( রোড নিরাপত্তা) এবং দুদক চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

হাইকোর্টে বিআরটিএর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মঈন ফিরোজী। সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক শুনানি করেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহববুব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ