Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জনগণ এই অবৈধ সরকারের অপসারণ চায়

প্রতিবাদ সমাবেশে মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক চৌধুরী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছারদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। জনগণ এইসব টোকাই-চুনোপুঁটিদের অপসারণ চায় না। জনগণ চায় এই জালিম-অবৈধ সরকারের অপসারণ। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আবরার হত্যার প্রতিবাদ ও খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে যারা মারল তারাও শিক্ষিত, কিন্তু কেন মেরেছে, তারা সেটাও বলেছে। ‘বড় ভাইরা’ বলেছে, তাই তারা আবরারকে ধরে এনেছে এবং নির্মমভাবে হত্যা করেছে।
বিএনপির নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আবরারের একমাত্র ছোটভাইকে সরকার নিরাপত্তা দিতে পারেনি। আবরারের ছোটভাই নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে। এ সময় তিনি আবরার হত্যাকারীদের বিচার এবং আবরারের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান তার বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য স্বেচ্ছায় কারাবরণের ডাক দিয়েছেন । তিনি বলেন, গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। আমাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আন্দোলন নিশ্চিত করতে হবে। এ অবৈধ সরকারের পদত্যাগ নিশ্চিত করতে হবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে উদ্দেশ করে আমান বলেন, আপনি স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য, আপনি এজেন্ডা নেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, মুক্তির নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সবাই একসাথে কারাবরণ করবো।
আমান বলেন, কথায় আছে জয় কালে ক্ষয় নাই, মরণ কালে ওষুধ নাই। বর্তমান সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। তার প্রমাণ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। যদিও এখন তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। কোনো লাভ নেই। দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে, তারা এই সরকারের পতন চায়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভ‚ঁইয়া, বিশেষ সম্পাদক ডক্টর আসাদুজ্জামান রিপন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ