পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিরীহ মানুষকে হয়রানিসহ ৮টি অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) র ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি’। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
‘দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা-২০০৭’ অনুসরণে কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে বর্তমান কমিশন এ ধরণের সভাগুলোর কোনো তথ্য আগে প্রকাশ করতো না। গতকালের সভায় কার কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তাদের নাম প্রকাশ করেনি কমিটি।
সভাসূত্র জানায়, দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ৮টি অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কমিটি। সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এ কমিটি গঠিত। গতকালের সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সভাপতির বক্তৃতায় তিনি বলেন, কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ কমিশন প্রদত্ত আইন ও বিধিমালার আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত কার্য সম্পন্ন না করে কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করেন তাহলে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। কর্মকর্তা-কর্মচারিদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
সভায় অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির সদস্য মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত, মহাপরিচালক (লিগ্যাল) মো. মফিজুর রহমান ভুঞা, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান, পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জালাল সাইফুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুদক সূত্র জানায়, বেনামি অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে নিরীহ মানুষকে হয়রানি, নোটিস বাণিজ্য, উদ্দেশ্যমূলকভাবে অনুসন্ধান-তদন্ত ঝুলিয়ে রাখা, মানুষকে ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ দুদক কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে পুরনো অভিযোগ। কিন্তু কিছু কিছু অনুসন্ধান-তদন্ত কমিশন নিজেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আটকে রাখে। বেসিক ব্যাংক মামলার তদন্ত, পানামা-প্যারাডাইস কেলেংকারির অনুসন্ধান, স্থাস্থ্যখাতের সবচেয়ে বৃহৎ দুর্নীতি মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু, কর্নফুলি গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ভবন নির্মাণের নামে সম্পত্তি ক্রয় দুর্নীতি, এমআরপি পাসপোর্ট প্রকল্পের ১২শ’ কোটি টাকার ‘ডি-লারু কেলেংকারি’সহ বহু দুর্নীতির ফাইল রহস্যজনক হিমাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কোনো কোনো দুর্নীতির অভিযোগ গোপনেই নথিভুক্ত (দায়মুক্তি) করার নজিরও রয়েছে। বৃহৎ দুর্নীতির অভিযোগ হিমাগারে পাঠিয়ে দেয়ার ঘটনাগুলো ঘটে কমিশনেরই শীর্ষ কর্মকর্তাদের ইঙ্গিতে। ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি’ এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে শোনা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।