Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

অনেকটা শান্ত ভোলা

মুসলিম ঐক্য পরিষদ ও হেফাজতের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-জনতার সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল ভোলা হাটখোলা মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি মোতায়েন ছিল। কর্মসূচি অনুযায়ী বিকালের দিকে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাটখোলা মসজিদের দিকে তৌহিদী জনতা আসা শুরু করলে পুলিশের বাঁধায় তারা ফিরে যান।

এসময় সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভ সমাবেশ স্থগিত করেন। এদিকে সারাদেশের কর্মসূচি অনুযায়ী ভোলায় সকালে হেফাজত ইসলামের বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের মুখে করতে পারেনি বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।

এদিকে, অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে পুরো শহর জুড়ে বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহর জুড়ে অনেকটা শান্তিপূর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে। দোকান পাট চালু রয়েছে। অনেকটা শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে বোরহানউদ্দিন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা অজ্ঞাত মামলার আতঙ্কে রয়েছেন। সাধারণ মানুষের কথা যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচার হউক। কিন্তু নিরাপরাধ মানুষ যাতে হয়রানির স্বীকার না হয় প্রশাসনের নিকট সে দাবি তাদের।

সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদ নেতা মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের সকল শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল সঠিক তথ্য উৎঘাটনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার পাওয়া। ইসলাম শান্তির ধর্ম, আমরা সেই ধর্মের অনুসারী, আমরাও শান্তি চাই।

মাওলানা তরিকুল ইসলাম বলেন, বোরহানউদ্দিনের ঘটনার প্রতিবাদে আমরা ৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করি। গতকাল বিকেলে ভোলার হাটখোলা মসজিদের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু পুলিশের বাঁধার মুখে আমরা কর্মসূচি স্থগিত করতে বাধ্য হই। তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল মানববন্ধন ও শুক্রবার নিহতদের স্মরণে দোয়া মোনাজাতের কর্মসূচি রয়েছে। আমাদের ৬ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুরো শহর জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, সহিংসতা এড়াতে শহরে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহলরত রয়েছে।

সাম্প্রতিক ইস্যুতে ভোলার আলোচিত সেই বিপ্লব চন্দ্র শুভর ভগ্নিপতি বিধান চন্দ্র মজুমদারকে ডিবি পরিচয়ে চরফ্যাশন উপজেলা থেকে একটি গ্রুপ তুলে নিয়ে গেছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করলেও তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। সোমবার রাতে উপজেলার দুলারহাট থানার রোদেরহাট বাজারের দোকান থেকে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে ডিবির ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, তাদের কোনো দল ওই অভিযানে যায়নি। এ ব্যাপারে তারা কিছু জানেন না। দুলারহাট থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, পুলিশের কোনো অভিযান ছিল না। তারা কিছু বলতে পারেন না।

এদিকে এ ঘটনায় নিহত চারজনের লাশ জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়া পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়েছে। অন্যদিকে আটক তিনজন বর্তমানে ভোলার জেলহাজতে রয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ