পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমনই যে কোনো দেশ এখানে বিনিয়োগ নিয়ে এলে লাভবান হবে। শুধু বিশ্বব্যাংক গ্রুপই নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উন্মুখ এখন পুরো বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভায় এমন কথাই উচ্চারিত হয়েছে, বিভিন্ন সংস্থা আর প্রতিষ্ঠানের সাথে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের বৈঠকে। এবারই প্রথম কোন নেতিবাচক শব্দ উচ্চারিত হয়নি বাংলাদেশ নিয়ে এমনই দাবী ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদের। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা, জলবায়ু, সহজ শর্তের ঋণসহ বহু ইস্যুতে জোরালো অবস্থান তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। আর তাই বার্ষিক সভায় যোগ দেওয়া শীর্ষ কর্মকর্তাদের মতে, অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবারের বার্ষিক সভা।
প্রতি বছর পুরো বিশ্বকে এক করার প্রত্যয়ে ১৯৪৮ সালে লন্ডনে শুরু হয় বিশ্বব্যাংক আইএমএফের প্রথম বার্ষিক সভা। যা প্যারিস, মেক্সিকো, দিল্লি, জাপান, জার্মানি হয়ে হংকংয়ে পূর্ণ করে পঞ্চাশ বছর। এরপর সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এ বছর অনুষ্ঠিত হলো ২৫তম সভা। যেখানে ১৮৯ সদস্য দেশ তুলে ধরে চলমান বাস্তবাতা। উঠে আসে, জলবায়ুর প্রভাব, আঞ্চলিক বৈষম্য, বৈশ্বিক বাণিজ্য সঙ্কট আর শরণার্থী সমস্যার মতো বিষয়গুলো। যা নিয়ে টানা আলোচনা চলে দীর্ঘ এক সপ্তাহ। সংস্থার অন্যতম শক্তিশালী সদস্য হিসেবে বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ থেকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের নেতৃত্বে যোগ দেন শীর্ষ কর্তারা। এবার বিদেশিদের কাছ থেকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রশংসায় ভেসেছে বাংলাদেশ। শীর্ষ কর্তাদের ভাষায়, এবারই প্রথম কারো কাছ থেকেই শোনা যায়নি বাংলাদেশ নিয়ে একটিও নেতিবাচক কথা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যে লক্ষ্যে যেভাবে যাবার কথা বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যেই আছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে বাংলাদেশকে নিয়ে যাবার কথা তারা বিশ্বাস করে যে এটা সম্ভব। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে বিভিন্ন সংস্থা আগ্রহী। কারণ এখানে সুবিধা হচ্ছেÑ টাকা বন্ডের। টাকা বন্ড হলে আমাদের লায়াবিলিটি বাড়বে না। ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের রেজিওনাল ভাইস প্রেসিডেন্টসহ ইডির অফিস থেকেও বলা হয়েছে বাংলাদেশকে সাহায্য করার তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে।
প্লেনারি সেশনে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস আশ্বাস দিয়ে স্পষ্ট বলেছেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়তার। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল ও গরীব দেশগুলোতে জলবায়ু খাতে সহজ ঋণ ও পুঁজিবাজার সংস্কারে সহায়তা বাড়াবে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে আরো বেশি বিনিয়োগ করতে চায় সংস্থাটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে বলেছেন, শুধু বিশ্বব্যাংক গ্রæপ নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য উন্মুখ এখন পুরো বিশ্ব। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ’র বার্ষিক সভা গত শনিবার শেষ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।