পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হিজরি বর্ষের সফর মাসের আজ শেষ বুধবার পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা। এ দিনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জ্বরমুক্ত হয়ে সর্বশেষ গোসল করেন। গোসল শেষে নাতিদ্বয় হযরত ইমাম হাসান (রা.), হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং মা ফাতেমা (রা.) কে ডেকে এনে তাদের সাথে সকালের নাস্তা করেন। হযরত বেলাল (রা.) এবং সুফফাবাসীগণ বিদ্যুতবেগে এ সুসংবাদ মদিনার ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেন। এ সুসংবাদে সাহাবায়ে কেরামগণের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায়। তারা বাঁধভাঙা স্্েরাতের ন্যায় দলে দলে এসে হুজুর (সা.) কে একনজর দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। উম্মতে মুহাম্মদীর আধ্যাত্মিক জীবনে আখেরি চাহার শোম্বার গুরুত্ব ও মহিমা অপরিসীম।
হুজুর (সা.) এর রোগমুক্তিতে সাহাবায়ে কেরাম এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, হযরত আবুবকর সিদ্দিক (রা.) তৎকালীন সময়ে ৫ হাজার দিরহাম গরীবদের মধ্যে বিলি করেছিলেন। হযরত ওমর (রা.) দান করেন ৭ হাজার দিরহাম। হযরত ওসমান (রা.) দান করেছিলেন ১০ হাজার দিরহাম ও হযরত আলী (রা.) দান করেছিলেন ৩ হাজার দিরহাম। ধনী ব্যবসায়ী হযরত আবদুর রহমান (রা.), ইবনে আউফ (রা.) ১০০ উট আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দেন। রাসূল (সা.) এর সামান্য আরামবোধের কারণে সাহাবীগণ কিভাবে জান-মাল উৎসর্গ করতেন এটাই তার সামান্য নমুনা।
রাসূল (সা.) এর রোগমুক্তির দিবস আখেরি চাহার শোম্বার দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারস্যসহ এশিয়ার পাক-ভারত উপমহাদেশে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এ দিনটি পালন করা হয়।
আজ আখেরি চাহার শোম্বার দিবস স্মরণে মুসলিম বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও বিভিন্ন দরবার, মাজার, খানকায় নফল নামাজ, ওয়াজ-নসিহত, জিকির আজকার, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি ছুটির দিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।