পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কার পার্কিংয়ে শৃঙ্খলা আনতে সড়কে সেন্সর বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা রাস্তায় সেন্সর বসিয়ে দিচ্ছি। কোনো গাড়ি যদি রাস্তায় পার্ক করে তাহলে ওই গাড়ির চেচিস নম্বর, গাড়ির নম্বর আমাদের কাছে চলে আসবে। একইসঙ্গে আপনাকে জানিয়ে দেওয়া হবে পার্কিং ফি সম্পর্কে। এতে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরা ৪ ও ৬ নং সেক্টরের রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা যে সকল রাস্তা করছি, সেগুলোতে আগে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করছি। পানি নিষ্কাশন না হলে রাস্তা বানাতে টাকা ঢেলে লাভ নেই। তাই আগে পানি নিষ্কাশন নিশ্চিত করে কাজ করছি। তিনি বলেন, জনগণের টাকায় রাস্তা করছি, আর সেই রাস্তায় গাড়ি পার্কিং করে রাখবে এটা হবে না। আমরা রাস্তায় সেন্সর বসিয়ে স্মার্ট কার পার্কিং সিস্টেমে যাচ্ছি। রাস্তায় গাড়ি পার্ক করলেই আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য চলে আসবে। নির্দিষ্ট চার্জ দিয়ে গাড়ি রাস্তায় রাখতে পারবেন।
মেয়র বলেন, গাড়ি পার্কিং নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নৈরাজ্য চলছে। এটা বন্ধ করতেই এই উদ্যোগ। তাছাড়া আমরা রাস্তায় পুশ বাটন সিস্টেম চালু করছি। আগামী বৃহস্পতিবার মোহাম্মদপুরের একটা রাস্তায় পুশ বাটন সিস্টেমের উদ্বোধন করা হবে। কাজের মান ঠিক রাখতে ঠিকাদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমরা যে সকল কাজ শুরু করছি, তার তদারকি করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দিচ্ছি। ওই কমিটি যেকোনো সময় রাস্তার কোড কাটিং করে বুয়েটে পাঠাবে। যদি রাস্তার ইট, সিমেন্ট বা অন্য উপকরণ ঠিক থাকে তাহলে বুয়েট টেস্টের টাকা দেবে ডিএনসিসি। আর যদি ঠিক না থাকে তাহলে টাকা দেবে ঠিকাদার। পাশাপাশি কাজের মান খারাপ হলে ডিএনসিসি বিল দেবে না। তাছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে হবে, সেটা না হলেও বিল পাবে না। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ কোনো কাউন্সিলর বা অফিসার যেই হোক তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা জনগণের কাজ বাদ দিয়ে নিজেদের সম্পদ গড়তে ব্যস্ত তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, সড়কের উন্নয়নের জন্য একটি গাছ কাটা পড়লে ৩টি গাছ রোপণ করতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজের মান ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
ডিএনসিসি ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আফসার উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা কাউন্সিলর শাহানাজ পারভিন মিতু।
জানা গেছে, এ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৪ নম্বর সেক্টরের ৩ ও ৯ থেকে সার্ভিস রোড, ২০, ২০/এ, ২০/বি, ২০/ডি, ১৮ ও ৭ নম্বর রোড। ৬ নম্বর সেক্টরের ১৩, ১৩/এ (বিএনসিসি সংলগ্ন) ১৫ ও ১৬ নম্বর রোডের উন্নয়ন করা হবে। এ প্রকল্পের আওতায় সড়ক ২ দশমিক ৮৭৪ কি.মি.। ফুটপাত ৪ দশমিক ৯৪৮ কি.মি.। নর্দমা ৪ দশমিক ৯৪৮ কি.মি. (আরসিসি নর্দমা) ৪০০মি. (১০৫০ মি.মি ডায়া পাইপ নর্দমা)। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ কোটি ৯৫ লাখ ৭হাজার ১ টাকা। কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর থেকে। মাইশা কনস্ট্রাকশন (প্রা.) লিমিটেড প্রকল্পটি ২০২০ সালের মে মাসের ২৩ তারিখের মধ্যে শেষ করবে। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।