পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪১(১) ধারা কেন অবৈধ এবং বাতিল করা হবে না-এই মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইনটির ৪১(১) ধারায় সরকারি কর্মচারিকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতার করতে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র আইনজীবী সারোয়ার আহাদ চৌধুরী বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন। প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত রুল জারি করেন। রুলে আইনের ওই ধারাটি কেন সংবিধানের ২৬(১) ও (২), ২৭ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না-তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রেসিডেন্টের কার্যালয় সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারকে বিবাদী করা হয়েছে। বিবাদীদেরকে আগামি ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পিটিশনার হিসেবে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নিজেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
প্রসঙ্গত: ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর সরকারি চাকরি আইনের গেজেট জারি হয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর এক গেজেটে বলা হয়, আইনটি ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। আইনের ৪১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনও সরকারি কর্মচারীর দায়িত্ব পালনের সহিত সম্পর্কিত অভিযোগে দায়েরকৃত ফৌজদারি মামলায় আদালত কর্তৃক অভিযোগপত্র গৃহিত হইবার পূর্বে তাহাকে গ্রেফতার করিতে হইলে সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে।’ এই ৪১(১) ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ অক্টোবর জনস্বার্থে রিট করা হয়। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী সরোয়ার আহাদ চৌধুরী, একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া এবং মাহবুবুল ইসলাম।
#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।