পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তিনবার জাতয়ি পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিবন্ধি স্কুল পরশ। কুমিল্লা শহর ঘেঁষা আড়াইওরা গ্রামে এটির অবস্থান। প্রতিবন্ধেিদর শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও পরশ সমাজকল্যাণ সংস্থার অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্কুলটিতে চলে ফ্রি চিকিৎসাসেবাও।
স্কুলটির সামনে জনৈক ব্যক্তির মৌলিকদানের একটি খোলা জায়গা রয়েছে। যেখানে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থেিদর খেলাধূলা করা ও শারিরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আর এই খোলা জায়গাটিই দখলের অপচেষ্টায় নামেন প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সভাপতি মো. জহির হোসেনের আপন বড় ভাই কানাডা প্রবাসি আলহাজ ফারুক হোসেন। তিনি ওই এলাকার জামাল নামের এক ভূমি ব্যবসায়েিক বরি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. ফারুক হোসেন প্রতিবন্ধি স্কুল নাময়ি একটি প্যাডে সাময়িক ক্ষমতা প্রদান করে ওই ব্যক্তিকে দিয়ে জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালান। প্যাডে তার নিজ নাময়ি স্কুলটির প্রতিষ্ঠাকাল ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ উল্লেখ করা হয়। অথচ ১৯৪৬ সালের ৩০জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ফারুক হোসেনের উদ্ভট এ ঘটনা নিয়ে ওই গ্রামে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আড়াইওরা গ্রামের গৃহবধূ সমাজ উদ্যোক্তা মর্জিা ফাতেমা আহমেদ ২০০২ সালে প্রতিবন্ধি শিশুদের জন্য শিক্ষার দুয়ার খোলার ইচ্ছে নিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালে পরশ প্রতিবন্ধি স্কুল নামে প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সমাজকল্যাণ অধিদফতরের নিবন্ধনভুক্ত হয়ে কাজ শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে ছিলেন মর্জিা ফাতেমা আহমেদ। তিনি ২০১৬ সালের জুন মাসে মৃত্যুবরণ করলে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন মর্জিা ফাতেমা আহমেদের স্বামি মো. জহির হোসেন। পরিচালনা পরিষদের অন্যান্য পদে রয়েছেন সহসভাপতি ডা. সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুস সেলিম, প্রতিবন্ধি বিষয়ক অতিরিক্ত সম্পাদক ডা. মাহবুব মোর্শেদ।
প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম ও শিক্ষার অগ্রগতির বিবেচনায় কুমিল্লা জেলা পরিষদের অনুদানে নির্মাণ করা হয় দোতলা ভবন। বর্তমানে স্কুলটিতে ৯৫জন শিক্ষার্থি ও চারজন শ্রেণি শিক্ষক একজন স্বাস্থ্যবিষয়ক শিক্ষক ও সেবাকর্মি রয়েছেন। গতকাল সোমবার সকালে পরশ প্রতিবন্ধি স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্কুলের জায়গা দখল ও নাম পরিবর্তনের অভিযোগ করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. জহির হোসেন। অভিযোগে তিনি বলেন, স্কুলটি নিজস্ব ভূমিতে তার স্ত্রি মর্জিা ফাতেমা আহমেদ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। টানা ১১ বছর এটি সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। স্কুলের সামনের সামান্য খোলা জায়গা এলাকার একজন দানশলি ব্যক্তি মৌলিকদান করেছেন। স্কুল প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর সামনের এই খোলা জায়গাটির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তারই আপন বড় ভাই ফারুক হোসেনের। যিনি ডাকার উত্তরায় স্থায়ভিাবে বসবাস করলেও বর্তমানে স্বপরিবারে থাকছেন কানাডায়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বেশ কয়েকদিন আগে আড়াইওরা গ্রামের ভূমি ব্যবসায়ি জামাল হোসেন একটি প্যাডে ফারুক হোসেনের স্বাক্ষরিত সাময়িক ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত চিঠি এনে স্কুলের সামনের জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালায়। দখলের বিষয়টি কোতয়ালি থানা পর্যন্ত গড়ালে পুলিশ সেখানে ১৪৫ ধারা জারি করেন। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বরি মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. ফারুক হোসেন প্রতিবন্ধি স্কুল নামে আড়াইওরা গ্রামে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোন কালেই ছিল না। আর স্কুলটি যদি ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এবং এটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে আলহাজ মো. ফারুক হোসেন হয়ে থাকেন তাহলে জন্মের ৩২ বছর আগে তার নামে এ গ্রামে প্রতিবন্ধি স্কুল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি হাস্যকর। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে স্কুলের জায়গা দখল করার হনি উদ্দেশ্যেই ফারুক হোসেন এলাকার ভূমি ব্যবসায়ি জামালকে দিয়ে এসব করাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।