পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কিডনি রোগের চিকিৎসায় স্টেম সেল পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছেন বাংলাদেশের চিকিৎসকরা। দেশে এই পদ্ধতির চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত ৫৮ শতাংশ রোগী কিডনি সমস্যা থেকে নিরাময় লাভ করেছেন। এই চিকিৎসার প্রসার ঘটাতে পারলে কিডনি চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ^বিদ্যালয়ে দু’দিনের অসংক্রামক রোগ সম্পকির্ত বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের শেষ দিনের সেশনে উপস্থাপিত প্রবন্ধে এ তথ্য জানানো হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ লেজার অ্যান্ড সেল সার্জারি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালের (বিএলসিএস হাসপাতাল) চিফ কনসালটেন্ট ডা. জাহাঙ্গীর মো. সারওয়ার।
গবেষকরা জানান, অকেজো কিডনির কার্যকারিতা ফেরাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বাধুনিক আবিষ্কার স্টেম সেল চিকিৎসা পদ্ধতি। স্টেম সেলের প্রয়োগ শরীরের অকেজো রক্তনালী সচল করা, ক্ষত সারানো, ক্ষতিগ্রস্ত ¯œায়ু পুনরুজ্জীবীত করা, স্বাস্থ্যকর নাইট্রিক অক্সাইড রিসেপটর ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে। দুরারোগ্য বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার পাশাপাশি স্টেম সেল চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে। আক্রান্ত রোগীদের কেউ কেউ আগে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ডায়ালাইসিস করাতেন। স্টেম সেল প্রয়োগের পর ধীরে ধীরে তাদের ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয়তা কমেছে। পর্যায়ক্রমে ডায়ালাইসিস ছাড়াই এসব রোগী সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। কিডনি বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার উপর সুস্থ কিডনি সংগ্রহ করাও দুরূহ। ডায়ালাইসিস নির্ভরতা কমিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে স্টেম সেল পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।