Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন সুপ্রিমকোর্ট বার সভাপতি-সম্পাদকের

নবনিযুক্ত ৯ বিচারপতির শপথ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নবনিযুক্ত অতিরিক্ত ৯ বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেছেন। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিমকোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। শপথগ্রহণকারী অতিরিক্ত বিচারপতিগণ হলেন, কাজী এবাদত হোসেন, কেএম জাহিদ সারওয়ার কাজল, কাজী জিনাত হক, মো. মাহমুদ হাসান তালুকদার মিন্টু, ড. মো. জাকির হোসেন, সাহেদ নুর উদ্দিন, ড. আখতারুজ্জামান, একেএম জহিরুল হক এবং মাহবুবুল ইসলাম। তাদের দক্ষতার ভিত্তিতে পরবর্তীতে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ দেয়া হবে। গত ২০ অক্টোবর মহামান্য প্রেসিডেন্ট তাদের নিয়োগ দেন। হাইকোর্ট বিভাগে ৯৯ জন বিচারপতি ছিলেন। অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগদানের পর হাইকোর্ট বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ১০৮ এ। শপথ গ্রহণকালে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, উভয় আদালতের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সিনিয়র আইনজীবীগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে নব নিযুক্ত ৯ বিচারপতির বিষয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছে সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি আওয়ামীলীগপন্থি আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএম আমিনউদ্দিন এবং বারের সম্পাদক বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুপুর দেড়টায় সুপ্রিমকোর্ট বারের শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বারের সম্পাদক অভিযোগ তোলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার পুরষ্কার স্বরূপ দুই জন বিচারককে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যোগ্যতা সম্পন্ন অনেক বিচারক থাকা সত্তে¡ও তাদের কেন নিয়োগ দেয়া হলো ? খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা দেয়াই কি তাদের নিয়োগের মাপকাঠি? তারা দুইজন অবসরোত্তর ছুটিতে চলে গেছেন। তারপরও তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা দুই বিচারপতির নাম জানতে চাইলে বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের নাম উল্লেখ করেন বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। এ সময় বারের সহ-সম্পাদক শরীফ ইউ আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী আকতার হোসেন এবং ওসমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর কিছুক্ষণ পরই বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিনউদ্দিন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন নিজ কক্ষে। এ সময় তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে রায় দিলে একজন বিচারক খারাপ হয়ে গেলেন-এ ধরণের মনোভাব ঠিক নয়। একজন বিচারক অনেক রায় দেন। দুই-একটি রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। কোন রায়ে ক্ষুব্ধ হলে উচ্চতর আদালত আছে। কিন্তু রায় বিরুদ্ধে গেলে আইনজীবী হিসেবে কথা বলা কাম্য নয়। আমি জানি না তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কিছু বলেছেন কি না। যদি বলে থাকেন তাহলে আমি নিশ্চিত রাজনীতিবিদ হিসেবে এ কথা বলেছেন। এ এম আমিন উদ্দিন আরও বলেন, তিনি (মাহবুব উদ্দিন খোকন) নবনিযুক্ত বিচাপতিদের সংবর্ধনা দিয়েছেন। যে দুইজনকে সংবর্ধনা দেননি তারা যেহেতু নেত্রীর বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন সেহেতু এটা দেননি। ওনারা রায়ের বিরুেেদ্ধ আপিল করেছেন। আমার মনে হয় না বিচারকের বিরুদ্ধে বলা আইনজীবীদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সভাপতির কক্ষে এ এম আমিন উদ্দিন এসব কথা বলেন।
##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ