পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, একাদশ সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি’, বরিশালে এক অনুষ্ঠানে একদিন আগে দেয়া বক্তব্য থেকে ইউটার্ন নিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন। এ প্রসঙ্গে মেনন বলেছেন, বরিশাল জেলা পার্টির সম্মেলনে আমার একটি বক্তব্য সম্পর্কে জাতীয় রাজনীতি ও ১৪ দলের রাজনীতিতে একটা ভুলবার্তা গেছে। আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ উপস্থাপন না করে অংশ বিশেষ উত্থাপন করায় এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।
পাঠানো বিবৃতিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃতাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই এ যাবতকালের নির্বাচন ১৪ দলের সংগ্রামেরই ফসল এবং সরকারও গঠিত হয়েছে ১৪ দলের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। আজকে মৌলবাদ-সা¤প্রদায়িকতার যে বিপদ বিদ্যমান তাকে মোকাবেলা করতে ১৪ দলের ওই সংগ্রামকেই এগিয়ে নিতে হবে।
এর আগে শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলে ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলনে মেনন অভিযোগ করেন, বিগত ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আমি সাক্ষী, এই নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। আমি সাক্ষী দিয়ে বলছি, আমি জনগণ, সেই জনগণ, তারা ভোট দিতে পারে নেই। ইউনিয়ন পরিষদে পারে না, উপজেলা পরিষদে পারে না। তাহলে (প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা, আপনি-আমি মিলে যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি, ঘেরাও করেছি, আজিজ কমিশনের সেই ১ কোটি ১০ লাখ ভোটারের তালিকা ছিঁড়ে ফেলার জন্য নির্বাচন বর্জন করেছিলাম, নমিনেশন সাবমিট করার পরে, আজকে কেন আমার দেশের মানুষ, আমার ইউনিয়ন পরিষদের মানুষ, আমার উপজেলার মানুষ, আমার জেলার মানুষ আমার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে আসবে না?
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্যের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেটিও কি ভুল ছিল।
তিনি বলেন, আমি কেবল এখনই নয়, জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে পার্লামেন্টে প্রেসিডেন্টের ভাষণের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলাম, একাদশ সংসদের সফল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু, অভিজ্ঞতাটি সুখকর নয়। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে এলেও নির্বাচনকে ভন্ডুল করা, নিদেন পক্ষে জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার কৌশল প্রয়োগ করেছে নির্বাচনে। ... এটা যেমন সত্য তেমনি এ ধরনের পরিস্থিতিতে অতি উৎসাহী প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বাড়াবাড়ি করতে পারে। কিন্তু, তাতে এই নির্বাচন অশুদ্ধ বা অবৈধ হয়ে যায় না।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, বক্তৃতায় আমি বলেছি, স্বাধীনতা উত্তরকাল থেকে এ যাবত জিয়া-এরশাদ-বিএনপি-জামায়াত আমলের ধারাবাহিক অনিয়ম অব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার অপব্যবহার ঘটেছে। বিভিন্ন সময় আমি প্রার্থী হিসেবে এসব ঘটনার সাক্ষী। আমি বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মিলে ভোটাধিকার ও ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে আমরা যে লড়াই করেছি, তা যেন বৃথা না যায়। সে জন্য নির্বাচনকে যথাযথ মর্যাদায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার বরিশালে এক অনুষ্ঠানে রাশেদ খান মেনন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দেয়নি। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম নেতার মুখে এমন মন্তব্যের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।