Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়কে পুশ বাটন বসাচ্ছে ডিএনসিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে পথচারীদের নিরাপদে সড়ক পারাপারের জন্য রাজধানীতে বসানো হয়েছে পুশ বাটন ডিজিটাল সিগন্যাল। প্রাথমিকভাবে মহাখালীতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এবং মোহাম্মদপুরে সেন্ট জেভিয়ার গ্রিন হেরাল্ড স্কুলের সামনে বসানো হয়েছে এই দুইটি সিগন্যাল। গতকাল রোববার স্থান দুইটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে সিগন্যালগুলোর। বাকি কাজের মধ্যে আছে সড়কে পারাপারের জন্য স্থান মার্কিং করা। জানা যায়, আগামী বৃহস্পতিবার ডিএনসিসি’র মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলামের আনুষ্ঠানিকভাবে এ দুটি সিগন্যাল উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের উন্নত শহরগুলোর আদলে ডিজাইন করে তৈরি করা হচ্ছে এসব ‘পুশ বাটন ডিজিটাল সিগন্যাল’। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ডিএনসিসির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেল (টিইসি) সিগন্যালগুলো বসানোর কাজ করছে।
সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, পথচারীদের যত্রতত্র সড়ক পারাপারের ঝুঁকি এড়াতে এবং বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ, প্রতিবন্ধী ও অন্ধ পথচারী এবং যানবাহনের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিতের উদ্দেশ্য নিয়ে বসানো হচ্ছে এসব সিগন্যাল।
এই সিগন্যালে সড়ক পারাপারে ইচ্ছুক কোনো পথচারী পুশ বাটনে চাপ দিলে ডিজিটাল সিগন্যালে একটি ‘কাউন্টডাউন’ শুরু হবে। নির্ধারিত সময় শেষ হলে পথচারীদের জন্য ‘সবুজ’ সংকেত ভেসে ওঠবে সিগন্যালে। অন্যদিকে যানবাহন চালকদের জন্য ভেসে ওঠবে ‘লাল’ সংকেত। অন্ধ পথচারীদের জন্য এই ডিভাইসে আছে ‘ভয়েস’ নির্দেশিকা সুবিধা। মোহাম্মদপুর এবং মহাখালীর সিগন্যাল দুইটি স্থাপনে খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। তবে ডিএনসিসির টিইসি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সড়কের প্রশস্ততা হিসেবে প্রতিটি সিগন্যাল বসাতে ভিন্ন ভিন্ন অংকের খরচ হতে পারে।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে দুইটি পয়েন্টে এই সিগন্যাল বসানো হলেও চলতি অর্থবছর নাগাদ আরও ২০টি পয়েন্টে পুশ বাটন বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। আর ২০২০ সাল নাগাদ এই সিগন্যালের সংখ্যা হবে মোট ৪৮টি। এজন্য ৪৮টি জায়গার তালিকা সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন বলেন, পথচারীরা যেন নিরাপদে সড়ক পারাপার হতে পারেন সেই ব্যবস্থা তৈরি করতে মেয়র মহোদয়ের নির্দেশনা ছিল। সে মোতাবেক ডিএনসিসির সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এই সিগন্যালগুলো বসানো হচ্ছে। এর ফলে পথচারীরা এলোমেলোভাবে সড়ক পারাপার না করে সুশৃঙ্খলভাবে পারাপার হবেন। তিনি বলেন, এসব সড়কে চলাচলরত যানবাহনের চালকেরা জানবেন, সামনে নির্দিষ্ট জায়গায় এই সিগন্যাল আছে এবং সেখান থেকে পথচারীরা পারাপার হবেন। তাই তারা আগে থেকেই সাবধান থাকবেন এবং সিগন্যাল পয়েন্টে ধীর গতিতে গাড়ি চালাবেন বা লাল সংকেত দিলে থেমে যাবেন। এতে দুই দিকেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। আমরা আশা করছি, পথচারী এবং যানের চালক যদি সচেতনার সঙ্গে এই সিগন্যাল ব্যবহার করেন তাহলে সড়ক পারাপারে দুর্ঘটনা একেবারেই কমে আসবে বলে জানান ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ