Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

দুদক-সিটিটিসির যৌথ তদন্ত অনুসন্ধান কোর্স

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম


 দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সমন্বয়ে যৌথ বিশেষায়িত তদন্ত অনুসন্ধান কোর্সের আয়োজন করা হচ্ছে। গতকাল রোববার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ৫ দিনব্যাপী এই কোর্সের উদ্বোধন করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, চলমান সাইবার অপরাধকে দমন করতে পুলিশ সদস্যদের আরও বেশি আধুনিক ও কৌশলী হতে হবে। দুদকের সক্ষতার অভাব রয়েছে, ইনভেস্টিগেশনে দুবর্লতা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান চলমান রাখতে হলে অন্যদের সাথে তাল মিলিয়ে মিথস্ক্রিয়া করে কাজ করে থাকে। কীভাবে ইনভেস্টিগেশন করতে হয় দুদক কর্মকর্তাদের আরও জানতে ও শিখতে হবে। দুদকের করা মামলায় সাজার হার ৭০ শতাংশ।
তিনি বলেন, কাজের ক্ষেত্রে দেশের প্রতি ও দেশের মানুষের প্রতি কমিটমেন্ট থাকতে হবে। দুদকের অভ্যন্তরে যে দুর্নীতি আছে আমরা তা দূর করার এবং স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছি। প্রতিষ্ঠান বা সরকার সব করতে পারবে না, তবেচেষ্টা করতে হবে। এ জন্য পারস্পারিক সহযোগিতা প্রয়োজন। দুর্নীতি দমন কমিশনে দুর্নীতি নেই সেটা বলতে পারব না। দুর্নীতি যেমন আছে সেখানে জবাবদিহিতাও রয়েছে। তাই কমিটমেন্ট অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্নীতি ঘটার আগে যদি সেটা ধরতে পারি সেটাই হবে আসল উদ্দেশ্য। দুর্নীতি যদি ঘটেই যায় তাহলে আমাদের থাকার উদ্দেশ্য কি? তাই আগে থেকে দুর্নীতি ধরতে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদক একা নয়, জনগণ ও সরকারের সব প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা ছাড়া দুর্নীতি সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়।
কর্মশালায় ডিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমন করা গেলে দেশের অনেক উন্নয়ন হবে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধি করতে প্রশিক্ষণার্থীদের তাগিদ দেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সাধারণ অপরাধগুলোর মধ্যেও প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়। প্রযুক্তি সব সময় পরিবর্তন হয়। তাই যারা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন তারা সেগুলোর সঙ্গে আপডেট থাকবেন। লোভে পড়লে শুধু অর্থ উপার্জন সম্ভব আর লোভে না পড়লে দেশের সব অর্জন সম্ভব।
অনুষ্ঠানে সিটিটিসি প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, সিটিটিসির কর্মকর্তারা শুধু দেশি-বিদেশি নয়, ইন-হাউজ ট্রেনিংও করছেন। কাউন্টার টেররিজম কোনো ট্রেনিং ইনস্টিটিউট না হলেও আমাদের অফিসাররা প্রতি মাসেই কোনো না কোনো ওয়ার্কশপ সেমিনার শর্ট ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে তরুণ অফিসার ও কর্মরতদের দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। দুদকের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক ও উপসহকারী পরিচালক পদমর্যাদার ২৫ জন কর্মকর্তা সপ্তাহব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ