পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পৃথিববীর অন্যতম প্রধান জনবসতি ঘনত্বপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হচ্ছে একটি সামাজিক বন্ধন ও স¤প্রীতির দেশ এবং যা সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্যও একটি হাতিয়ার। এখানে একে অপরের কষ্টে ব্যথিত হয়, যে কোন ধরনের আপদ বিপদে একে অপরকে যেভাবে সাহয্য সহযোগীতা করতে এগিয়ে আসে তা যে কোন দেশের ইতিহাসে বিরল। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যাটির কারনে এটা এখন অনেকটাই হুমকীর মুখে। আর তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের কোনো বিকল্প নেই। যে কোনো উপায়ে দ্রæততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আমরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। এ ক্ষেত্রে কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই, শুধু তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বিশ্বব্যাংক বিশ্ববাসীর সঙ্গে আলাপ করে একটা পজেটিভ সিদ্ধান্ত নেবে। ইতোমধ্যে মিয়ানমারের সাথে তাদের নিয়ে যাওয়ার চুক্তি হয়েছে, কিন্তু সেখানে কোন টাইম লাইন দেওয়া হয়নি। আশা করি দ্রæত টাইম লাইন আসবে।
গত শনিবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী বিষয়ক একটা গোল টেবিল বৈঠক এবং বিশ্বের দুটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংক সিটি ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সাথে বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ, অর্থ সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট। কিভাবে দ্রæত সময়ে তাদের নিজ দেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্টি ফিরিয়ে যেতে পারে সেই বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জনমত গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকে জোরালো ভূমিকা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ। এই বিষয়ে ইতিবাচক মনোভব প্রকাশ করেছেন হার্টউইগ শেফার। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হলেও এখন তার উচ্চমূল্য দিতে হচ্ছে। কক্সবাজারসহ ঐ এলাকার পুরো পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে আমাদের সামাজিকভাবে ও জলবায়ুগত চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। আমাদের সামাজিক বন্ধনসহ যে সব ক্ষতি হচ্ছে তা ডলার বা টাকার অংকে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। তাই রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে, এটাই আমাদের প্রধান চাওয়া।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এ জন্য বিশ্বব্যাংক বা অন্য কোনো উন্নয়ন সহযোগির এখাতে আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা ভাবছি না। ফলে আমরা ভাবছি তাদের প্রত্যাবন ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। আশা করি বিশ্বব্যাংক সবার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের কে একটা সুন্দর সমাধানের পথ দেখাবে। এই বিষয়ে বিশ্বের সবাই আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। এতে চীন, ভারত ও জাপান প্রত্যেকে একেকটি বড় ফ্যাক্টর। তাই এদেরকে বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না। তারা সব আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। আমাদের চাওয়া রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে। আমরা আর্থসাজমাজিকভাবে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতেই হবে। আমরা সকলেই একই লাইনে কথা বলেছি। কারোরই অলারনেটিভ অপশন নেই। রোহিঙ্গাদের নিজে দেশে ফেরাতে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বেরর দুটি শীর্ষ স্থানীয় ব্যাংক সিটি ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ও এইচএসবিসি ব্যাংকের সাথে বৈঠক সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংক দুটি বাংলাদেশে পুঁজিবাজার ও বন্ড মার্কেটে বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। এই সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাব আলাদা আলাদা ভাবে বিশ্বব্যাংকের সভায় অর্থমন্ত্রীর নিকট প্রস্তাব করা হয়েছে। এইচএসবিসি মালয়েশিয়ায় জনপ্রিয় সুকুব বন্ড ইস্যু করতে চায়। বাংলাদেশের ব্যাংকিংখাতে পাবলিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি চালু নাই। তবে সেটা বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোতে চালু রয়েছে। এই জন্য তাদের প্রস্তাব নিয়েছি এগুলো যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বৈদেশিক উৎস থেকে নেয়া ঋণগুলো এখন থেকে টাকায় পরিশোধের জন্য প্রস্তাব এসেছে। এক্ষেত্রে এই দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ পরিশোধ করার প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেননা ডলারের বিপরীতে টাকার মান সব সময় উঠানামা করে। এক্ষেত্রে টাকার মূল্যমান নির্দিষ্ট রেখে ডলারের বিপরীতে নেয়া ঋণ বাংলাদেশী টাকায় পরিশোধ করা হলে বাংলাদেশ লাভবান হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।