Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যবিপ্রবির ক্যালেন্ডারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃতি

তদন্তে মিলেছে সত্যতা

বিশেষ সংবাদদাতা,যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৮ ও ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ‘বিকৃত’ করার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
জানা যায়, যবিপ্রবির ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি আপত্তিকরভাবে উপস্থাপন করে অবমাননা করা হয়। এ বিষয়ে যশোর আদালতে ৫০০ কোটি টাকার একটি মানহানির মামলা করেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এরই মধ্যে আনোয়ার হোসেন বিপুল উচ্চ আদালতে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ঘটনাটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন তালুকদারকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্য করা হয় যুগ্ম-সচিব আহমদ শামীম আল রাজী ও উপ-সচিব আ ন ম তরিকুল ইসলামকে।
সে মোতাবেক তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। রোববার বিচারপতি এস আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের বেঞ্চে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

প্রাথমিক শুনানি শেষে আগামী ৩ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। বাদিপক্ষের সিনিয়র আইনজীবী সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল সূত্র জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখিত হয়েছে, সার্বিক পর্যালোচনায় প্রমাণিত হয়েছে ২০১৮ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি এবং ২০১৯ সালের ডেস্ক ক্যালেন্ডারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছবি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে তারা দায়িত্ব পালন করেননি।

এদিকে, যশোর বিজ্ঞান ওপ্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ভিসি প্রফেসর আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নসহ নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ