পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতে ভোটবাক্স ভর্তি এবং জনগণের ভোট দিতে না পারা নিয়ে বোমা ফাটালেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরীক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বলেছেন, আমিসহ একাদশ জাতীয় সংসদে যারা নির্বাচিত হয়েছি আমাদেরকে দেশের কোন জনগণ ভোট দেয়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পরিনি। নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেউ ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেনি, আসতে দেয়া হয়নি। নৌকার প্রার্থী হিসেবে আমি রাজসাক্ষী বিগত নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রীসহ আমিও বিজয়ী হয়ে এমপি হয়েছি। বিগত জাতীয়, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোথাও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ। গতকাল বরিশালের অশ্বিনী কুমার টাউন হলে আয়োজিত ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা কমিটির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে উন্নয়ন হচ্ছে। এর সঙ্গে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা, লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এতে দেশের মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না, গুটিকতক মানুষ টাকার পাহাড় গড়ছে।
ঢাকা-৮ আসন থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত রাশেদ খান মেনন বলেন, আজ দেশের ভোটাধিকার হরণ করেছে সরকার। সরকার দেশব্যাপী উন্নয়নের রোল মডেল করেছে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। উন্নয়নের নামে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র হরণ নয়। উন্নয়ন মানে ভিন্ন মতের সংকোচন নয়। উন্নয়ন মানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়। উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের স্পেস কমিয়ে দেওয়া নয়। উন্নয়নের নামে আজ দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে সরকার। বুয়েট ছাত্র আবরারদের প্রাণ দিতে হচ্ছে। তাই কেউ মুখ খুলে মত প্রকাশ করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে তাঁর সরকারেরই সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, আপনি-আমি মিলে যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি, বিচারপাতি আজিজের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করেছি; আমরা এককোটি ১০ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা ছিঁড়ে ফেলে নির্বাচন বর্জন করেছি নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরও। আজকে কেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে না? কেন ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যায় না?
প্রখ্যাত এই বাম নেতা বলেন, বিগত সরকারের প্রধান খালেদা জিয়া ও ও তার হাওয়া ভবনে বসে দুর্নীতি লুঠপাট করার কারণে কেউ সাজা ভোগ করছেন, অন্যরা পালিয়ে গেছেন। তিনি প্রশ্ন রাখেন এখন আওয়ামী লীগের সরকারে থেকে যারা দুর্নীতি লুঠপাটসহ বিদেশে অর্থ পাচার করছেন তাদের বিচার করবে কে? শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ লুটেরাদের আড়াল করে যতই শুদ্ধি অভিযান চালান তাতেই কিছুই হবে না। শুদ্ধি অভিযানের নামে ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে। কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গা নির্বিঘেœ আছে। রাষ্ট্রের সম্পদ যারা লুটে নিচ্ছে সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে। আসল দুর্নীতিবাজদের সাজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে?
বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে জেলা সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন দলের পলিট ব্যুরো সদস্য আনিছুর রহমান মল্লিক, জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি এ্যাড. শেখ মোহাম্মদ টিপু সুলতান, শান্তি দাশ, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, টি. এম শাহজাহান হাওলাদার, আ. মন্নান, ফায়জুল হক বালী ফারহিন, সীমা রানি শীল ও শাহিন হোসেন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।