পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজকীয় সউদী সরকার ১৪৪১ হিজরিতে ওমরাযাত্রীদের সকল ব্যয়ভারের অর্থ আইবিএএন-এর মাধ্যমে সউদী আরবে পাঠানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওমরাযাত্রীর সকল খরচের টাকা আইবিএএন-এ সউদীতে পাঠানোর পরেই ওমরাহ ভিসা ইস্যু হবে। হুন্ডির পরিবর্তে বৈধ চ্যানেলে হজ ও ওমরার টাকা সউদী পাঠানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো ওমরাযাত্রীদের ব্যয়ের টাকা আইবিএএন-এর পাঠানোর জন্য তফসিলী ব্যংকগুলোকে নির্দেশনা জারি করেনি। ফলে হাজার হাজার ওমরাযাত্রী সকল প্রস্তুতি নিয়েও ভিসা না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। নির্ধারিত ফ্লাইটে টিকিট কেটেও ওমরাহ ভিসা না পাওয়ায় টিকিট বাতিল করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক ওমরাযাত্রীর যাবতীয় ব্যয়ের টাকা সউদীতে পাঠানোর অনুমতি দিতে গড়িমসি করায় বেশকিছু ব্যাংক ঝুঁকি নিয়েই ওমরার টাকা আইবিএএন-এর মাধ্যমে সউদীতে পাঠাচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত রাজশাহী ট্রাভেলস সাড়ে ৩শ’ ওমরাযাত্রীর ভিসা হাতে পেয়েছে। উক্ত ট্রাভেলসের মাধ্যমে গত দু’দিনে প্রায় দেড়শ ওমরাযাত্রী সউদী আরবে পৌঁছেছে। ট্রাভেলসটির হাতে এখন পর্যাপ্ত ওমরাহ ভিসা রয়েছে।
হাবের সুপারিশের পর ধর্ম মন্ত্রণালয় গত ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণরকে ওমরাযাত্রীদের সউদী আরবে সকল খরচের টাকা এজেন্সির নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে আইবিএএন এ পাঠানোর অনুমতি দেয়ার জন্য লিখিত অনুরোধ জানায়। কিন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এখনো অনুমতি না পাওয়ায় ব্যাংকগুলো ওমরার খরচের টাকা সউদী পাঠাতে রাজি হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাযাত্রীরা নিয়মিত সউদী যাচ্ছেন। কিন্ত বাংলাদেশি হাজার হাজার ওমরাযাত্রী আইবিএএন-এর মাধ্যমে সউদীতে টাকা পাঠাতে না পেরে ওমরায় যেতে পারছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংক ওমরাযাত্রীদের সউদীতে সকল ব্যয়ভারের টাকা ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আইবিএএন-এ পাঠানোর জন্য অনুমতি না দেয়ায় ওমরাহ ভিসা ইস্যু হচ্ছে না। ওমরাহ পালনের সকল ব্যয়ের টাকা সউদী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে পাঠাতে না পারায় ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না।
প্রতিদিন ওমরাহ এজেন্সির মালিক প্রতিনিধিরা তফসিলী ব্যাংকগুলোতে ধরনা দিয়েও সউদী আরবে ওমরার টাকা পাঠাতে পারছে না। হাবের একটি সূত্র জানায়, ওমরার খরচের টাকা বৈধ চ্যানেলে আইবিএএন-এর মাধ্যমে সউদীতে পাঠানোর অনুমতির সার্কুলার জারি করতে বাংলাদেশ ব্যাংক কেন গড়িমসি করছে তা’ কেউ কিছু বলতে পারছে না।
উল্লেখ্য, ১৪৪০ হিজরিতে বাংলাদেশ থেকে প্রায় দুই লাখ ৪০ হাজার ওমরাযাত্রী ওমরাহ পালন করেছেন। এবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বৈধ ওমরা এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করতে দেরি করায় ওমরাহ কার্যক্রম চালু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে রাজশাহী ট্রাভেলসের মাধ্যমে সম্প্রতি বেশ কিছু ওমরাযাত্রী সউদী আরবে চলে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই ব্যাংক এশিয়া রাজশাহী ট্রাভেলসের ওমরাযাত্রীদের খরচের টাকা আইবিএএন এর মাধ্যমে সউদী আরবে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ জন্য ব্যাংক এশিয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। ব্যাংক এশিয়াও রাজশাহী ট্রাভেলসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। আরো কয়েকটি ওমরাহ এজেন্সিও বেশ কিছু ওমরাযাত্রীকে সউদী আরবে পাঠিছে বলে জানা গেছে। হাবের সাবেক সহসভাপতি ও চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী সৈয়দ গোলাম সরওয়ার গতকাল শনিবার ইনকিলাবকে বলেন, ওমরাযাত্রীদের যাবতীয় খরচের অর্থ সউদী সরকার আইবিএএন এর মাধ্যমে সউদীতে পাঠালেই ওমরাহ ভিসা ইস্যু করবে। কিন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ওমরযাত্রীদের টাকা সউদীতে বৈধ চ্যানেলে পাঠানোর অনুমতি কেন দিচ্ছে না তা’বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে ওমরাহ ভিসা না পাওয়ায় শত শত ওমরাযাত্রী চরম হতাশায় ভুগছেন। অনেক ওমরাযাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে টিকিট ক্রয় করেও ভিসা না পাওয়ায় জরিমানা দিয়ে টিকিট বাতিল করছে। এতে এয়ারলাইন্সের সিটও খালি যাচ্ছে। তিনি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ওমরার খরচের টাকা সউদী পাঠানোর অনুমতি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামান করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।