পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সবজির সরবরাহ বাড়ছে, তবে দাম কমছে না। সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ এই অজুহাতে বাড়ছে সব মাছের দাম। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে পেঁয়াজের দামে আগুন। গোশতের দামও চড়া। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামের বাজারে পণ্যমূল্য অস্থির। এতে করে স্বল্প আয়ের লোকজন বিপাকে পড়েছে।
বাজারে সবজির অভাব নেই। তবুও ৫০ থেকে ৪৫ টাকার নিচে ভালমানের কোন সবজি মিলছে না। প্রতিকেজি আলু ২০-২২ টাকা, বেগুন ৫৬-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬০ টাকা, পটোল ৪৫-৫০ টাকা, চালকুমড়া ২৫-৩০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ টাকা, লাউ ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাকরোল প্রতিকেজি ৭০-৭৫ টাকা, মুলা ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙে ৫০-৬০ টাকা, বরবটি ৫৬-৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা, ফুলকপি ৭০-৮০ টাকা, শিম ৮০-৯০ টাকা, চিচিঙা ৫৫-৬০ টাকা, তিতা করলা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
টমেটো ১১০-১২০ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা, গাজর ৭০-৮০ টাকা এবং কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন শীতের সবজি বাজারে আসলেও দাম এখনও কমেনি। সরবরাহ আরও বাড়লে দাম কমতে পারে। বাজারে মাছের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এই কারণে দামও চড়া। বাজারে ইলিশ তেমন নেই। কিছু বাজারে ইলিশের দেখা মিললেও দামে আগুন।
আকার ভেদে ইলিশ মাছ ৮০০-১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩০০-৩৫০ টাকা, রুই ২৮০-৩০০ টাকা, কাতাল ২৫০-২৮০ টাকা, কোরাল ৫০০-৬৫০ টাকা, লইট্টা মাছ ৮০-১২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, কার্প ১৮০ টাকা, মৃগেল ২৫০-২৮০ টাকা, শিং মাছ ৭০০-১০০০ টাকা, কৈ মাছ ৬০০-৮০০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০-১০০০ টাকা।
মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ব্রয়লার ১২৫-১৩০ টাকা, সোনালিকা ২৫০-২৭০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৩৯০-৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর গোশত হাড়সহ ৫৫০ টাকা, হাড় ছাড়া ৬০০ টাকা এবং খাসির গোশত প্রতিকেজি ৭৫০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কারসাজিতে পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি পার হয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পরও দাম কমেনি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ এবং মিয়ানমার থেকে আসা পেঁয়াজের বেশির ভাগ পচা-এমন অজুহাতে কমছে না পেঁয়াজের দাম। গতকাল বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে প্রতিদিনই ট্রাকে ট্রাকে পেঁয়াজ ঢুকছে খাতুনগঞ্জের আড়তে। জাহাজে তুরস্ক, মিসর, চীন থেকে পেঁয়াজ আসছে চট্টগ্রাম বন্দরে। ফলে সহসা পেঁয়াজের দাম পড়ে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।