পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর তদারকিতে কঠোরভাবে নিয়মকানুন অনুসরণ করতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আইনের বাইরে যাবেন না এবং দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তদারকি করার ক্ষেত্রে নিয়মগুলি কঠোরভাবে অনুসরণ করুন।
চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর নেতৃত্বে ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাতকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। বৈঠকের পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজগুলোর প্রতিও নজরদারি বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইউজিসি একটি আইন তৈরীর মাধ্যমে শক্তিশালী করা হবে, ফলে এর সক্ষমতাও অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরদারির ক্ষেত্রে তারা কঠোরভাবে আইন অনুসরণ করে থাকেন উল্লেখ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালগুলো পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন ধরনের অনিয়মের অনুমতি দেব না।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মঞ্জুরী কমিশনের কর্মকান্ড সম্পর্কে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য একটি নীতিমালার রূপরেখা প্রণয়ন করেছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা শিক্ষকদের জন্য বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)-র মত একটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট চাই।
অধ্যাপক শহীদুল বলেন, দেশে বর্তমানে ১৫৫টি সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। তারা এরমধ্যে অন্তত ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছেন। এত বিপুল সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় পর্যবেক্ষণে কমিশনের জনবল বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, অতীতের জনবল নিয়ে ইউজিসি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সচিব সাজ্জাদুল হাসান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীকে জার্সি উপহার
প্রায় ১২ ঘন্টার সফরে গতকাল ভোর ৫টায় বাংলাদেশে এসেছেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। ঢাকায় পা রেখেই সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শিমুল হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ফিফা সভাপতি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয় তুলে ধরেন ফিফা সভাপতির সামনে। এসময় জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বাংলাদেশের ফুটবলের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
বৈঠক শেষে ফিফার পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার নাম লেখা নীল রঙের একটি ১০ নাম্বার জার্সি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন ইনফান্তিনো। প্রধানমন্ত্রীও ইনফান্তিনোর নাম লেখা বাংলাদেশ জাতীয় দলের লাল-সবুজ রঙের একটি ১০ নাম্বার জার্সি উপহার দেন ফিফা সভাপতিকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনুর রশীদ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী, সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ অন্যরা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর দুপুরে ৫০ মিনিটের জন্য মতিঝিলস্থ বাফুফে ভবনে যান ফিফা সভাপতি। সেখান থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ইনফান্তিনো রওয়ানা হন প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁও’য়ের। সোনারগাঁও হোটেলে এসে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন ফিফা বস। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৫টায় লাওসের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।