Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বালিশ-কান্ড অনুসন্ধানে দুদকের টিম গঠন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘বালিশকান্ড’ দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন গ্রিণ সিটি আবাসন প্রকল্পের ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনা ও ভবনে উত্তোলন কাজে অস্বাভাবিক ব্যয় নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। গত ১৯ মে প্রতিবেদন প্রকাশের পাশাপাশি দুটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের গ্রিনসিটি প্রকল্পের জন্য কেনা একটি বালিশের পেছনে ব্যয় দেখানো হয় ৬ হাজার ৭১৭ টাকা। এর মধ্যে বালিশের দাম ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। সেই বালিশ ফ্ল্যাটে ওঠানোর খরচ ৭৬০ টাকা দেখানো হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের দুই কমিটির তদন্তের ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। হাইকোর্টের নির্দেশে গত জুলাই মাসে আদালতে জমা দেয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনে দুর্নীতির জন্য ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়। গ্রিণ সিটি আবাসন পল্লীর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা ও তা ভবনে তোলায় অনিয়ম নিয়ে গত ১৬ মে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিনসিটি আবাসন পল্লীতে ১১টি ২০ তলা ও ৮টি ১৬ তলা ভবন হচ্ছে। এরইমধ্যে ৮টি ২০ তলা ও একটি ১৬ তলা ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা। ভবনে বালিশ ওঠানোর খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা। প্রতিটি রেফ্রিজারেট কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি খাট ক্রয় দেখানো হয় ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। খাট উপরে ওঠানোর খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা।

প্রতিবেদনে প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান ও অন্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। দুদক বিষয়টি আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। এ লক্ষ্যে দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ