পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ে (জবি) এক পক্ষকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ‘ছাত্রদল-শিবির’ বলে চালিয়ে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় জড়িত দুজনকে আটকের পর জেলে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, ফেসবুক মেসেন্জারে মেসেজের জের ধরে গত বুধবার বেলা ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাহা উদ্দিনকে বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি ও লাঞ্ছিত করে ফিন্যান্স বিভাগ ১১তম ব্যচের শিক্ষার্থী রিয়াদ ইবনে সাদাফ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী সানবীর মাহমুদ ফয়সাল। এরপর বিকাল ৫টার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের টিএসসিতে চা খেতে গেলে রিয়াদ ইবনে সাদাফ ১৫-২০ জন নিয়ে আতিকুল, জাহাঙ্গীর ও বাহা’র উপর আবারও হামলা করে। এসময় ‘ছাত্রদল ও শিবির’ বলে চাপাতি দিয়ে আতিক ও জাহাঙ্গীরকে উপর্যুপুরি কোপাতে থাকে। এসময় অবস্থা বেগতিক দেখে আতিক ও জাহাঙ্গীর বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে পালাতে চাইলে সাদাফের নেতৃত্বে ১৫-২০ তাদেরকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। এরপর বিশ^বিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা কামাল পুলিশের সহায়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় আতিকুল ইসলাম বাদি হয়ে বুধবার রাতে সুত্রাপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। এতে ফিন্যান্স বিভাগ ১১তম ব্যচের শিক্ষার্থী রিয়াদ ইবনে সাদাফ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী সানবীর মাহমুদ ফয়সাল, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১১তম ব্যাচের আল সাদিক হৃদয়, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ১১তম ব্যাচের আল সাদিত জিয়ন, মার্কেটিং বিভাগ ১১তম ব্যাচের ফয়সাল, ম্যানেজমেন্ট বিভাগ ১০তম ব্যাচের আরাফাত ইসলাম, প্রানীবিদ্যা বিভাগ ১০ ব্যাচের আবু মুসা রিফাতের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনের নামে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর বুধবার রাতে পুলিশ রিয়াদ ইবনে সাদাফ ও সানবীর মাহমুদ ফয়সালকে গ্রেফতার করে গতকাল বৃহস্পতিবার কোর্টে তুললে তাদের জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন মহানগর হাকিম জজ আদালত।
এ বিষয়ে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ঘটনার পর দুই ছাত্রকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর প্রক্টরিয়াল বডি টিএসসিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় ব্যবহৃত চাপতি উদ্ধার করেছে। আমরা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন থেকে পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে।
সুত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলার পর দুইজনকে গ্রেফতার করে আজ (বৃহস্পতিবার) কোর্টে পাঠানো হয়। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।