Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাস্তায় চলাচলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে

ভিডিও কনফারেন্সে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সড়ক দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যানবাহনচালক, পথচারীসহ সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, সবাইকে রাস্তায় চলাচলে সতর্ক থাকতে হবে। অহেতুক একটি প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে। যানবাহনচালকদেরও একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটবে। শেখ হাসিনা আরো বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা আমরা বলছি। ইতিমধ্যে আমরা নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি। কাজেই যারা রাস্তায় চলাচল করেন, তারা যখন রাস্তা পার হবেন, তখন ডান ও বামএই দুই দিকে দেখে সচেতনভাবে পার হতে হবে। আবার রাস্তায় যারা গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালাবেন, তাদেরও সচেতন হতে হবে। বাস ও ট্রাকচালকদেরও সচেতন হতে হবে।
গতকাল গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার, সেতু, বাইপাসসহ বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। উদ্বোধন হওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও-টোক সড়কের ৭২তম কিলোমিটারে বানার নদের ওপর ২৮২ দশমিক ৫৫৮ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার জাতীয় মহাসড়কের ইন্দ্রপুল থেকে চক্রশালা পর্যন্ত বাঁক সরলীকরণ, ভোমরা স্থলবন্দর সংযোগসহ সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক এবং মুন্সিগঞ্জ সড়ক বিভাগাধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতুসমূহ (১৩টি সেতু) স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপন। এছাড়া কুড়িগ্রাম-ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসে’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন এবং রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের র‌্যাকে নতুন কোচ প্রতিস্থাপনেরও উদ্বোধন করেন।
সরকার সড়ক উন্নয়ন করছে তবে সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে যত্মবান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোন সড়কে কত বড় বা ভারী যানবাহন চলতে পারে, সে বিষয়টা একটু খেয়াল রাখা দরকার। কারণ, অনেক সময় অনেকে এই বিষয় মানতে চান না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমরা যোগাযোগব্যবস্থা করছি, যাতে দিনে এসে মানুষ কাজ করে দিনেই নিজ গৃহে ফিরে যেতে পারে। রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যন্ত যেন সরাসরি যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হয়, সে জন্য একটি সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার, যার সুফল পাচ্ছে দেশের জনগণ।
শেখ হাসিনা বলেন, একটা দুর্ঘটনা ঘটলে শুধু চালককে দায়ী করলে চলবে না, বরং কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটল, সে জন্য যে পথচারী এবং দুর্ঘটনাকবলিত যানের যে চালক, তারও কী ভুল আছে, সেটাও দেখা দরকার। সে জন্য আমি বলব, চালক থেকে শুরু করে যারা সড়ক ব্যবহারকারী, সবারই সচেতনতা একান্তভাবে প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী এ জন্য স্কুলপর্যায় থেকেই সড়কে চলাচলের আইনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান করে বলেন, রাস্তার কোন দিক থেকে হাঁটতে হবে, সেটাও একটি শিক্ষণীয় বিষয়। কখন পার হতে হবে, সেটাও শিক্ষণীয় বিষয়। আমি মনে করি, আমাদের প্রতিটি স্কুলে এবং প্রত্যেক শিক্ষার্থীকেই স্কুলজীবন থেকেই এই শিক্ষা প্রদান করা একান্তভাবে দরকার।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার উদ্বোধন করা সড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার ও বাইপাস ব্যবহারে সবাইকে যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আমি তৈরি করে দিচ্ছি, কিন্তু এটা দেখভালের দায়িত্ব এবং এটা যাতে নষ্ট না হয়, সে জন্য যারা ব্যবহার করবেন এবং স্থানীয় জনগণ, সবারই এ ব্যাপারে দায়িত্ব রয়েছে। সে দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন বলেই আশা করি।
কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। ৮২ ভাগের ওপর মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বাস করতো। জলপথই ভরসা ছিল, রাস্তাঘাট ছিলই না। শোষিত বঞ্চিত মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করতেই তিনি দেশ স্বাধীন করেন এবং বিধ্বস্ত রেল সড়ক যোগাযোগ চালুর ব্যবস্থা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রেসক্রিপশনের প্রেক্ষিতে তৎকালিন বিএনপি সরকারের জনবান্ধব রেলকে বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল দেশের জন্য আত্মঘাতী। কোন এক আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনা ছিল যে, যেটা লাভজনক নয় তা বন্ধ করে দেয়ার। সেই নির্দেশনায় বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে রেল যোগাযোগটাকেই সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়ার জন্য অনেকগুলো রেললাইন এবং রেল স্টেশন বন্ধ করে দেয়। আমি মনে করি, রেল বন্ধ করে দেওয়া, আমাদের দেশের জন্য একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত ছিল। একটা দেশের যোগোযোগের জন্য রেলপথ, সড়ক পথ এবং নৌপথ এবং সেই সাথে বিমান- সবগুলো পথই চালু থাকা দরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ হলো এদেশের সাধারণ এবং মধ্যবিত্তের অন্যতম একটি চলাচলের মাধ্যম। যারা ক্ষমতায় ছিল (বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকার) তারা রেলকে ধ্বংসের এবং একে বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পরই সিলেট এবং চট্টগ্রামে দু’টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালুসহ রেলকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। রেল যোগাযোগটা যাতে আরো উন্নত হয় তার ব্যবস্থা হিসেবে আমরা উত্তরবঙ্গসহ সমগ্র বাংলাদেশেরই রেল যোগাযোগ স্থাপনের একটি উদ্যোগ গ্রহণ করি।
এ সময় বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু নির্মাণের সময় সেটাতে রেল লাইন স্থাপনসহ সেতুটিতে বহুমুখীকরণে তার সরকার উদ্যোগে গ্রহণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যমুনা সেতুর মূল নকশা প্রণয়ন হয়ে যাওয়ার পর সরকারে আসলেও আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি এই সেতুর সাথে আমাদের রেলের লাইন, গ্যাস এবং বিদ্যুতের লাইন থাকতে হবে। এটি মাল্টিপারপাস হবে এবং সেই মোতাবেকই আমরা এর সঙ্গে রেল সংযোগ সম্পৃক্ত করি।
তিনি বলেন, এই রেল লাইন স্থাপনের ফলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমাদের রাজধানী ঢাকার ভাল যোগাযোগের সুব্যবস্থা হয়ে যায়। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ বা লিংক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেসবও সরকার নতুনভাবে চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাশাপাশি, যেসব স্থানে রেল যোগাযোগ ছিল না সেখানেও রেল যোগাযোগ চালু করা হচ্ছে। ফলে, সাধারণের যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে স্বল্প খরচে পণ্য পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, উৎপাদিত পণ্য পরিবহন এবং বাজারজাত সহজ করে দিলে আমাদের দেশের কৃষকরাই সব থেকে লাভবান হবে। তিনি এ সময় চিলমারী বন্দর পুনরায় চালুকরণসহ উত্তরাঞ্চলের ভাওয়াইয়া গানের প্রচার প্রসার এবং সংরক্ষণেও সরকার এগিয়ে আসবে বলে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় কুড়িগ্রামে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এবং লালমনিরহাটে একটি অ্যারোস্পেস এন্ড এরোনটিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে সরকার সেখানে প্লেন তৈরি করার স্বপ্ন দেখছে বলেও উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিটাও প্রয়োজন। আর যেন উত্তরবঙ্গবাসীকে মঙ্গা শব্দটা শুনতে না হয় সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন এবং রেল বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়নের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন এবং ভিডিও চিত্র পরিবেশন করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. নুরুজ্জামান আহমেদ গণভবন প্রান্তের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন কুড়িগ্রাম স্টেশন থেকে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বক্তব্য শেষ করে বাঁশি ফুঁকে ও সবুজ পতাকা উড়িয়ে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রংপুর ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের র‌্যাকে নতুন কোচ প্রতিস্থাপন করেন শেখ হাসিনা
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণভবন প্রান্তে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ, পিএমও সচিব সাজ্জাদুল হাসানসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং গণভবনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় সাংসদ এবং জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম এলাকার উপকারভোগী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।



 

Show all comments
  • Md Siyam Akanda ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 0
    জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় হোক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
    Total Reply(0) Reply
  • MD Aontor ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    এভাবে এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বাংলাদেশ।
    Total Reply(0) Reply
  • Shamim Ara ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    আমার দেশ মাতা দেশের অনেক রাস্তা করছেন। আমার দেশ মাতা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে,অভিনন্দন, অভিনন্দন,অভিনন্দন।
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Islam Pinu Pinu ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 0
    Congratulations...জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
    Total Reply(0) Reply
  • নবীন ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    একটা সমাজকে ঠিক রাখতে হলে সমাজের সকল মানুষ এবং সরকারের দায়িত্ত্ব, শুধু সরকারের একার দায়িত্ব নয়. আমাদের দেশের কত % মানুষ সত্যবাদী সৎ? আর যারা বিরুধী দলের তারা সারাক্ষন দিন আর রাতের ভোট নিয়ে ব্যস্ত তারার সব সময় বলতে চায় সরকার তাদের মুখে উঠিয়ে খাইয়ে দিবে, ষড়যন্ত্রের গণতন্ত্র ছাড়া আর কিছু বুঝেনা
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৫ এএম says : 0
    অবশেষে "ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার" উদ্বোধন হল, যদিও এটা আরো দুই বছর আগেই শেষ হবার কথা ছিল!!
    Total Reply(0) Reply
  • jack ali ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৬ এএম says : 0
    What you doing? it is your responsibility to safe peoples of Bangladesh.
    Total Reply(0) Reply
  • Lalu proshad ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১:৩৭ এএম says : 0
    What about the controlling of chandabaji in transport sector and implementation of the new law?
    Total Reply(0) Reply
  • Md Hasan ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৭ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা যদি সবাই মানতো তাহলে আজ দেশ অনেক দূর এগিয়ে যেতো
    Total Reply(0) Reply
  • তফসির আলম ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৮ পিএম says : 0
    রেলের দুর্নীতি বন্ধ হওয়া খুব জরুরী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ