পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে। মাদক ও অস্ত্র আইনের দায়েরকৃত মামলায় ডিবির কর্মকর্তারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ১০ দিনের রিমান্ডের প্রথম দিন গতকাল থেকে সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তের সাথে জড়িত কর্মকর্তারা। এ সময় ক্যাসিনো ও টেন্ডারসহ নানা দুর্নীতির বিষয়ে তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। অন্য দিকে আরমানকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সদর দফতরের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের উপ-পরিচালক মেজর হুসাইন রইসুল আজম গত রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়েরকৃত মামলাগুলো ডিবি থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা মামলা গ্রহন করেছি। আইনগত ভাবে ওই মামলার আসামিদের র্যাবের হেফাজতে নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য ১০ দিন রিমান্ডের প্রথম দিনেই সম্রাটের মামলা দু’টির তদন্ত ও আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলা র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ডিবির পৃথক দু’টি টিম তাদেরকে কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদের মধ্যে সম্রাটকে ক্যাসিনো ব্যবসায় তার সহযোগী ও টাকার ভাগবাটোয়ারা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় একই বিষয়ে। তাদেরকে জয়েন্ট ইন্টারগেশন সেলে মুুখোমুখি (জেআইসি) জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ডিবির দক্ষিণ জোনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ১০ দিনের রিমান্ডে থাকা সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকটি বিষয় ভাগ করা হয়েছে। কাকরাইলে ভূঁইয়া ম্যানশন দখল, কারা কেন সেখানে যাওয়া আসা করতেন, ক্যাসিনো ও টেন্ডার সিন্ডিকেটে কারা, বিদেশে অর্থপাচার এবং অস্ত্র ও মাদক সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর মধ্যে কৌশলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার সকালে সম্রাট অসুস্থ বোধ করেন জানালে তাকে নির্দিষ্ট কিছু প্রশ্ন করা হয়। সম্রাট তার কাছ থেকে সুবিধাভোগী একাধিক সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের নাম জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অস্ত্র প্রসঙ্গে অনেক প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যাচ্ছেন, চুপ থাকছেন। অন্য দিকে দক্ষিণ যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি আরমানকে পৃথক একটি টিম তার অস্ত্র ও মাদক কানেকশন এবং ক্যাসিনো ব্যবসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তিনি ক্যাসিনো ব্যবসা সম্পর্কে কিছু তথ্য দিলেও অন্য প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম পেয়েছে পুলিশ।
গত ১৫ অক্টোবর ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামিরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ মাদক, জুয়া ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মূল রহস্য উদঘাটনে আরমানের এবং অস্ত্র-গুলির রহস্য উদঘাটনে সম্রাটের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। রিমান্ডের আবেদনে আরো বলা হয়েছে, সম্রাট ও আরমানের সহযোগী ও সুবিধাভোগীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। একই দিনে মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন একই থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা। সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দু’টি দায়ের করেন র্যাবের নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। বর্তমানে এসব মামলা তদন্ত করছে ডিবি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।