পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা চুরির ঘটনায় সাবেক এমডিসহ তিন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই আদেশে সাবেক ছয় এমডিসহ ২০ জনকে জামিন দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভ‚ঞা এ আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহম্মাদ, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) আবু তাহের মো. নুর-উজ-জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) একেএম খাদেমুল ইসলাম। তিনজনই বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিণ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওমর ফারুক (১) ও অ্যাডভোকেট এম. আমিনুর রহমান জানান, আদালতে দুদকের পক্ষে দাখিল করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গত মঙ্গলবার বিচারক আমলে নিয়ে সাবেক সাত এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। একদিন পরই বুধবার দুপুরে ২৩ জন আসামি আদালতে এতে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে সাবেক এমডিসহ তিনজন কর্মকর্তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অপর সাবেক ছয় এমডিসহ ২০ জনের জামিন দেন।
মামলার আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নুরুজ্জামান জাহানী, অ্যাডভোকেট তহিদুল হক ও অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী প্রমুখ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফশিলভুক্ত হওয়ায় দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় আসামি করা হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক সাতজন এমডিসহ ২৩ জন আসামি। এরা হলেন, সাবেক এমডি মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, মো. আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ। এছাড়াও সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, মো. আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদা, মো. আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক মো. খলিলুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান, মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সতেন্ত্র নাথ বর্মন, মো. মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক মো. সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. জোবায়ের আলীকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ১৪ জন আসামির নাম ছিল। তদন্তে ৯ জনের নাম যুক্ত হওয়ায় এজাহারনামীয় পাঁচজনকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়। চার্জশিট থেকে যাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন- ব্যবস্থাপক মো. মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক একরামুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও মহাব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র সাহা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।