Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বরগুনা থেকে খালাসহ দু’জন গ্রেফতার

প্রেমিকের সহায়তায় ভাগ্নিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রেমিকের সহযোগিতায় আপন বোনের মেয়েকে অপহরণ করে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগে খালাসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হলো- খালা শাহিনুর আক্তার ও তার প্রেমিক শাহীন হাওলাদার। গত সোমবার বরগুনা সদরের ফুলঝুড়ি গ্রাম থেকে অপহৃত শিশু মাহিমা আক্তার লামিয়াকে (৫) উদ্ধার ও এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ডিবির ডেমরা জোনের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে।

সকল কার্যক্রম শেষে গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এর আগে গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর ডেমরার একটি মাদরাসা থেকে লামিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তার খালা। লামিয়াদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার হরিপুর গ্রামে। সে তার মায়ের সাথে নানার বাসা ডেমরার নূর মসজিদ সংলগ্ন বাঁশেরপুল এলাকায় থাকতো। তার বাবা বাহরাইন প্রবাসী। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্লে- শ্রেণিতে পড়াশুনা করে।

ডিবি ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর ডেমরার নূর মসজিদ সংলগ্ন বাঁশেরপুল এলাকায় নানা বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকে শিশু লামিয়া। প্রতিদিন মা লাকি আক্তারের আঁচল ধরে স্থানীয় একটি মাদরাসায় প্লে-গ্রুপে পড়তে যায় সে। গত ৭ অক্টোবর একইভাবে লামিয়াকে মাদরাসায় রেখে বাসায় ফেরেন মা। কিছুক্ষণ পর খবর পান এক নারী নিজেকে লামিয়ার খালা পরিচয় দিয়ে কিছু কিনে দেওয়ার কথা বলে মাদরাসায় ঢুকে তাকে বাইরে নিয়ে যায়। কিন্তু তাকে আর মাদরাসায় ফেরত দেয়নি। পরে লামিয়ার মাকে কল করে মেয়েকে অপহরণের কথা জানিয়ে ৬০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। একপর্যায়ে লাকি আক্তার ৩০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠায় এবং ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার বরগুনা লামিয়াকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে অপহরণকারী শাহিনুর আক্তার ও তার প্রেমিক শাহীন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে ডিবি। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, অপহরণকারী নারী শাহিনুর লামিয়ার আপন খালা। গত মঙ্গলবার লামিয়ার মা মামলা করলে ওই মামলায় এই দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে একইদিন আদালতে পাঠালে তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরবর্তীতে আদালতের সব কার্যক্রম শেষে গতকাল লামিয়াকে তার মা লাকি আক্তারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।

ডিবির ডেমরা জোনের এডিসি রফিক বলেন, শাহিনুরের স্বামী, সন্তান থাকা সত্তে¡ও সে শাহিন হাওলাদারের সঙ্গে প্রেম করত। ওই প্রেমিকের গ্রামের বাড়ি বরগুনা। লামিয়াকে সেখানে নিয়ে রাখে তারা। জিজ্ঞাসাবাদে শাহিনুর আরও জানায়, তার বাবার কাছ থেকে সম্পত্তি ও টাকা চাইলে বাবা দিতে রাজি হয়নি। তাই ভাগ্নিকে অপহরণ করলে হয়তো টাকা দিবে, এই ভেবে অপহরণ করেছে। তাছাড়া লামিয়ার বাবা প্রবাসী এবং তার অনেক টাকা আছে ভেবেও লামিয়াকে অপহরণ করা হয়।

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে মেয়েকে বুঝে পাওয়ার পর শিশুটির মা লাকি আক্তার বলেন, লামিয়ার বাবা বাহরাইন প্রবাসী। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার তিতাস থানার হরিপুর গ্রামে। তার বোন এমন কাজ করেছে যে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ