পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেসিক ব্যাংকের অর্থ লোপাটে তৎকালিন চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। এ কথা জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। গতকাল মঙ্গলবার নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত। তিনি বলেন,বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির বিষয়ে এই কমিশনের সময়ে কোনও মামলা হয়নি। এই কমিশন শপথও ভঙ্গ করেনি। কারও পারসেপশনের ভিত্তিতে আমরা চার্জশিট দিতে পারি না। অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে হবে। অভিযোগ প্রমাণের মতো এখনও কোনও তথ্য প্রমাণ পায়নি দুদক। তাই কমিশন এ নিয়ে চার্জশিট দাখিলের মতো নির্দেশনা দিচ্ছে না। সময় নিচ্ছে। আমরা হাফ ডান চার্জশিট করতে চাই না। বাচ্চুর বিষয়ে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট প্রমান মেলেনি। দুদক চেয়ারম্যান শপথ ভঙ্গ করেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দিলোয়ার বখত বলেন, কেন শপথ ভঙ্গের প্রশ্ন আসছে আমরা বুঝছি না।
গত ১৩ অক্টোবর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে দুদক চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইকবাল মাহমুদের সরে যাওয়া উচিত। এর আগে গত ১২ অক্টোবর সাভারে ট্যানারি পল্লীতে এক সভায় তিনি বলেন, দুদক চেয়ারম্যান যদি বলে থাকেন বা বলতে চান বা মনে করেন যে, তিনি কোনও প্রভাবের কারণে ব্যবস্থা নেননি, তাহলে তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। সে কারণে তার অবশ্যই পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের এ বক্তব্যের বিষয়ে গতকাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
উল্লেখ্য, বেসিক ব্যাংকে বিপর্যয়ের শুরু হয় ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর সময়ে। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৪ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই সময়েই ঘটে বড় অংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা। ২০০৯ সালে শেখ আবদুল হাই বাচ্চু চেয়ারম্যান হওয়ার পর ২০১৩ সালের মার্চ পর্যন্ত (চার বছর তিন মাসে) ব্যাংকটি ৬ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। এ ঋণের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকাই নিয়ম ভেঙে দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে ঋণ বিতরণে অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ার পর প্রথমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণ করা হয়। ২০১৪ সালের ২৯ মে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ৪ জুলাই অর্থমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে পদত্যাগপত্র দেন শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। পরে বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। কিন্তু পরিচালনা পর্ষদের কাউকেই মামলাগুলোতে অভিযুক্ত করা হয়নি। আসামিদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণ নেওয়া ৫৪টি প্রষ্ঠিানের স্বত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। ব্যাংকটির তৎকালীন পর্ষদের ১৩ জন সদস্যের মধ্যে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দায় সারে দুদক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।