Inqilab Logo

মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে পেঁয়াজ-শিক্ষা-চিকিৎসা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চলতি বছরের আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, শাক-সবজি, মাছ, ব্রয়লার মুরগি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য, চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা উপকরণ, বিবিধ দ্রব্যাদি ও জ্বালানি কাঠ ইত্যাদির দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির পরিমাণ বেড়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৫৪ ভাগ, যা আগস্টে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৪৯ ভাগ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৫ দশমিক ৪৩ ভাগ। অর্থাৎ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছরের সেপ্টেম্বরেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
মূল্যস্ফীতির হার পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, শাক-সবজি, মাছ, বয়লার মুরগি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যাদির মূল্য আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছে।
এতে আরও দেখা যায়, খাদ্যবহির্ভূত উপ-খাতে চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা উপকরণ, বিবিধ দ্রব্যাদি ও জ্বালানি কাঠ ইত্যাদি উপ-খাতের দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত উপ-খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৩০ ও ৫ দশমিক ৯২ ভাগ, যা আগস্টে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫ দশমিক ২৭ ও ৫ দশমিক ৮২ ভাগ।
গ্রামীণ পর্যায়ে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৪১ ভাগ, যা আগস্টে ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৩৪ ভাগ। আর শহরে সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ ভাগ, যা আগস্টে ছিল ৫ দশমিক ৭৫ ভাগ।
গত এক বছরের (২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার নিরূপিত হয়েছে শতকরা ৫ দশমিক ৫০ ভাগ। একই সময়ে আগের এক বছরের (২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর) চলন্ত গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল শতকরা ৫ দশমিক ৬৮ ভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ