Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

বড়পুকুরিয়া কয়লা দুর্নীতি

দিনাজপুর অফিস | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দিনাজপুর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা চুরির ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমদ ভুঞা এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের মামলা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এম আমিনুর রহমান জানান, চাঞ্চল্যকর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারক বড়পুকুরিয়ার সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চার্জশিটে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনে পাঁচজনের অব্যাহতির আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। এছাড়া আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে চার্জশিটভুক্ত ২৩ আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় থানা পুলিশ কর্মকর্তাকে আদেশ দেয়া হয়।

অভিযোগপত্রের তালিকায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি প্রকল্পের সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ জন আসামি রয়েছেন। এরা হলেন, সাবেক এমডি মাহবুবুর রহমান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদ আলম, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আনিসুজ্জামান, প্রকৌশলী এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহমেদ। এছাড়া সাবেক মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শরিফুল আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান চৌধুরী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদা, আরিফুর রহমান ও সৈয়দ ইমাম হাসান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিবুর রহমান, জাহিদুর রহমান, সহকারী ব্যবস্থাপক সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন, মনিরুজ্জামান, কোল হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক সোহেবুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক অশোক কুমার হাওলাদার ও উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী আসামি রয়েছেন।

মামলার এজাহারে ১৪ জন আসামি ছিলেন। তদন্তে ৯ জনের নাম যুক্ত হওয়ায় এজাহারনামীয় ৫ জনকে তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। চার্জশিটে যাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে তারা হলেন, ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন সরকার, ব্যবস্থাপক জাহিদুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক একরামুল হক, সাবেক ব্যবস্থাপক আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী ও মহা ব্যবস্থাপক গোপাল চন্দ্র সাহা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে। যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এ ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত বছরের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নামোল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফশিলভুক্ত হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে এক বছর পর চলতি বছরের গত ২৪ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। সেই থেকে অভিবুক্তরা আদালতে হাজির হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে বিচারক মামলার চার্জশিট আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

দিনাজপুর কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল মজিদ জানান, মামলা দায়েরের পর থেকে এই মামলায় কোনো আসামি এখন পর্যন্ত জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ