পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই শিশু তুহিনকে খুন করে বাবা আব্দুল বাছির ও তার ভাইয়েরা। গতকাল সন্ধ্যা পৌঁনে ৭টায় সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানান, গতকাল বিকেলে নিহত শিশু তুহিন হত্যা মামলায় তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির ও চাচা আব্দুল মোছাব্বির এবং জমসেদকে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু তাহের মোল্লা বাবা ও ২ চাচার রিমান্ড আবেদন করলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহা তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নিহত তুহিনের অপর চাচা নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত দিরাই জোনের বিচারক মো. খালেদ মিয়ার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার জানান, রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহত শিশু তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির শিশুটিকে ঘুম থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চাচাদের সহায়তায় বাড়ির অদূরে গ্রামের রাস্তায় প্রথমে গলা কেটে হত্যা করে। পরে কান ও লিঙ্গ কেটে পেটে ছুরি ঢুকিয়ে বাড়ির পাশে একটি কদম গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে বেধে ঝুলিয়ে রেখে বাড়িতে চলে আসে।
পরে রাত ৩টার দিকে আব্দুল বাছিরের ভাতিজি তানিয়া বেগম বাছিরের বসত ঘরের দরজা খোলা দেখে ডাক দেয়। পরে আব্দুল বাছিরসহ তার ভাই ভাতিজাকে নিয়ে শিশু তুহিনকে খুঁজতে থাকে। এ বিষয়টি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। সোমবার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশু তুহিনের লাশ উদ্ধার করে এবং তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা মোছাব্বির, জসিম, নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারসহ ৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। গতকাল তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা মোছাব্বির, জসিম, নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে পৃথক আদালতে নিলে নাছির ও শাহরিয়ার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বলেন, নিহত তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির একটি হত্যা মামলাসহ কয়েকটি মামলার আসামি। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে আব্দুল বাছির তার ভাই ও ভাতিজাদের নিয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
নিহত তুহিনের মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে সোমবার রাতে অজ্ঞাত ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নিহত শিশু তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, চাচা মোছাব্বির, জসিম, নাছির ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ারকে আসামি করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হায়াতুন নবী, মাহবুবুর রহমান, জেলা বিশেষ শাখার ওসি আনোয়ার হোসেন মৃধা, সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদুর রহামন, দিরাই থানার ওসি কে এম নজরুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি কাজী মুক্তাদীর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, তুহিন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন করেছে সুনামগঞ্জস্থ দিরাই কল্যাণ সমিতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ও জেলা খেলাঘর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।