পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশাসনিক শূন্যতায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ বাতিল করে দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিহাসে নতুন রেকর্ড গড়লো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনের পরে চরম অচলাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।
গত কয়েক মাস ধরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, রেজিস্ট্রার, ট্রেজারার ও কন্ট্রোলারের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে সার্বিক কার্যক্রম। এমনকি ১৮ ও ১৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী সেশনের ভর্তি পরীক্ষার তারিখও বাতিল করতে হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখও জানাতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। মূলত এ প্রতিষ্ঠানটি এখন কে চালাচ্ছে বা কিভাবে চলছে তাও বলতে পারছেন না কেউ। ফলে ভর্তিচ্ছু প্রায় ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা চরম অনিশ্চয়তার কবলে। এসব ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে হতাশার সাথে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
গত ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দাওয়াত না করাকে কেন্দ্র করে ছাত্র নেতৃবৃন্দের ক্ষোভের মুখে তৎকালীন ভিসি এস এম ইমামুল হকের বিরূপ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। টানা এক মাসের বেশি সময় ধরে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত ভিসি তার মেয়াদের অবশিষ্ট দিনগুলো ছুটিতে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসে ফিরে যায়।
ট্রেজারার একেএম মাহবুব ভিসির দায়িত্ব লাভ করেন। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ট্রেজারার পদে তার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। ২৬মে ভিসি বিদায় নেয়ার প্রায় পাঁচ মাস পরেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি নিয়োগ না দেয়ায় মারাত্মক প্রশাসনিক সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ এ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠনটিতে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটিতে প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও কন্ট্রোলার পদগুলোও শূন্য। ফলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টিই চরম প্রশাসনিক শূন্যতার মধ্যে দিয়ে চলছে। এমনকি চলতি মাসের মধ্যে ভিসি ও ট্রেজারারের শূন্যপদ পূরণ না করলে এ মাসের শেষে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানও অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাধিক শিক্ষক।
ভিসির পদ শূন্য থাকাসহ ভারপ্রাপ্ত ভিসির মেয়াদ শেষ হবার মুখেই গত ১-২৫ সেপ্টেম্বর ভর্তির আবেদন গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ভর্তি পরীক্ষার ফি গ্রহণ করা হয় ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আগামী সেশনের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি ইউনিটে ৪৯ হাজার ৯৫৬ ছাত্রছাত্রী ভর্তির আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন অনলাইনে। এমনকি এ্যাকাউন্ট পরিচালনার মত দায়িত্বশীল কেউ না থাকায় ভর্তি পরীক্ষার্থীরা যে অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে, তা উত্তোলন করে পরীক্ষার আয়োজন করা যাচ্ছে না।
ফলে ভর্তি পরীক্ষার ব্যয় মেটানোর মত অর্থ না থাকার কারণেও পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ও ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটির সদস্য অধ্যাপক মহশিন উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। যদিও পরবর্তিতে নতুন ভর্তি পরীক্ষার তারিখ জানানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। কিন্ত কবে নাগাদ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আর কবে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তির সুযোগ পাবে, তা বলতে পারেন নি কেউ।
দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিহাসে প্রশাসনিক শূন্যতার কারণে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ বাতিলের ঘটনা বিরল বলে অভিহিত করেছেন একাধিক অভিভাবক। তারা এ জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদাসীনতা আর ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।