পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাড়ির সামনে দিয়ে চলে গেছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাসের লাইন। নগরীর সৌভাগ্যবান কিছু মানুষ সংযোগ পেলেও অপেক্ষার প্রহর গুনছেন রাজশাহী মহানগরীর হাজার হাজার আবেদনকারী। অনেকে সংযোগ ফি আর প্রয়োজনীয় সংযোগের কাজ শেষ করে অপেক্ষায় রয়েছেন রাইজারের। পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী রাজশাহীর অফিসে ধর্ণা দিচ্ছেন দিনের পর দিন। লাইনে পর্যাপ্ত গ্যাস থাকায় প্রয়োজনীয় সংযোগ দিতে না পারায় প্রতি বছর লোকশানের পাল্লা ভারী হচ্ছে সংস্থাটির।
রান্না নিয়ে গৃহিনীদের কান্না আর অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর ২০০৯ সালে ২৭০ দশমিক ১৫ কি মি পাইপ লাইন স্থাপন করে নগরজুড়ে। ২০০৯ সালে এখানে গ্যাস সরবরাহ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় খুব কম মানুষের ভাগ্যে সংযোগ মিলেছে। বাসা বাড়িতে নয় হাজার একশো সাতান্নটি আর শিল্প কারখানায় এগোরোটি। অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় একুশ হাজার আবেদন। এরমধ্যে অনেক আবেদন রয়েছে যারা সব প্রস্তুতি শেষ করেও শেষ পর্যন্ত সংযোগ পাননি। এখন ওয়ারিং করা পাইপে মরিচা ধরেছে। ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগের নিষেধাজ্ঞার কারনে ঝুলে গেছে সবকিছু।
বিগত মেয়র ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নগরবাসীর কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির অন্যতম ছিল ফের গ্যাস সংযোগ চালু করা। সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের এমপি বাদশা তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার যোগাযোগ করে অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারাও রয়েছেন বেশ বিব্রতকর অবস্থায়।
এদিকে দৌড় গোড়ায় গ্যাসের লাইন অথচ সংযোগ মিলছে না। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের কমতি নেই। সিলিন্ডার গ্যাস নিয়ে নানা রকম ঝক্কি। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন গ্যাসের সংযোগ না দেয়ায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার বিঘিœত হচ্ছে।
পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানীর রাজশাহীর অঞ্চলিক সূত্রে জানাযায়, বর্তমানে গ্যাস বিক্রি করে যা আয় তাতে লোকসান গুনতে হচ্ছে। নিজেদের বেতন ভাতা ও প্রকল্পের জন্য নেয়া ১০৮ কোটি টাকার সুদাসল পরিশোধে প্রতিবছর খরচ হচ্ছে এগারো কোটি টাকা। আর আয় হচ্ছে মাত্র দু’কোটি টাকা। সে হিসাবে বছরে কোম্পানীর লোকসান হচ্ছে নয়কোটি টাকা। অথচ পিজিসিএল এখানে যে সরবরাহ নেটওয়ার্ক গড়েছে। তার মাধ্যমে দৈনিক পনের মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের সক্ষমতা রয়েছে। অথচ বর্তমানে মাত্র তিন দশমিক পচিশ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস খরচ হয়। যে পরিমান আবেদন জমা আছে তারসংযোগ দিলেও কোম্পানীর বর্তমান আর্থিক ক্ষতি অনেকটা কমে যাবে। তাছাড়া এখানে কোন অৈেবধ সংযোগ নেই। আবার নেই বকেয়া বিল। সব মিলিয়ে একটু উদ্যোগ নিলে রান্না নিয়ে গৃহিনীদের কান্না যেমন কমবে তেমনি লোকসান থেকে বাঁচবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।