পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জিসান ইসলাম মাহিম (১১ বছর) পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাত ভাঙা, ব্যথায় কাতরাচ্ছে সে। গতকাল ভোরে রাজধানীর কাকরাইলে পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তার মা মাসুদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। সে এখনো জানে না, তার মা আর নেই। স্বজনরাও মায়ের মৃত্যুও খবরটি পর্যন্ত দিতে পারছেন না। মা’কে কবর দিতে গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে গেছেন স্বজনরা। আর মাহিম হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে মাকে খুজেই যাচ্ছে। তার কান্নায় স্বজনদের পাশাপাশি ডাক্তার নার্সদেরও চোখে পানি। গতকাল সকালে রাজধানীর কাকরাইলে পিকআপ ভ্যানের চাপায় মাসুদা বেগম (৩৫) মারা যান। আর গুরুতর আহত হন মাহিম। ঘাতক পিকআপটি আটক করতে পারেনি পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল ভোরে সকাল ৭টার দিকে মাসুদা বেগম ও মাহিম বরিশাল থেকে সকালে ঢাকায় ফেরেন। সদরঘাট থেকে রিকশা করে মধুবাগের বাসায় যাচ্ছিলেন তারা। রিকশায় মা ও ছেলে ছিলেন। কাকরাইল রাজমনি সিনেমা হলের সামনে আসার পর একটি পিকআপ ভ্যান রিকসাটিকে চাপা দিলে দুই জনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। ঘটনাস্থলেই মাসুদা বেগম মারা যান। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মাহিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢামেক মর্গে পাঠায়।
নিহতের স্বামী মোফাজ্জল হাওলাদার বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল। ঢাকায় গাড়ির ব্যবসা আছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মগবাজারের মধুবাগ বসবাস করছি। দুই ছেলের মধ্যে মাহিম ছোট। বড় ছেলে মগবাজারে একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র। কয়েকদিন আগে স্ত্রী ও ছেলে বরিশালের মুলাদীতে বেড়াতে যায়। শনিবার রাতে তারা লঞ্চে উঠে। ভোরে তারা সদরঘাট আসেন। রিকসায় উঠে মোবাইলে ফোন দিয়েছিল মাসুদা। তাদের আসার খবরে খুব আনন্দে ছিলাম। স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে একত্রে নাস্তা করার কথা ছিল। কিন্ত ঘাতক গাড়ি আমার সবশেষ করে দিয়েছে।
মাহিনের ফুপাতো ভাই তারেকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বললেন, মাহিম জানে তার মা বাসায় আছে। মায়ের জন্য শুধু কান্নাকাটি করছে। কিভাবে যে বলি ওর মা আর নেই। স্বজনরা লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গেছে। মধূবাগে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর মাহিমের কাছে এখন আমরা। তিনি আরও বলেন, মাহিমের বা হাত ভেঙ্গে গেছে। দুই পায়ে কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। শরীরের অন্য স্থানগুলোতেও ব্যাথ্য পেয়েছে। ওকে কয়েক ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি ফুফুর লাশ রাস্তায় পড়ে আছে। মাহিনকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে। একটু পর পর যন্ত্রণায় চিৎকার করছে সে। মায়ের কথা সে কয়েকবার জানতে চেয়েছে। তাকে জানানো হয়েছে, মা ভালো আছেন।
রমনা থানার এসআই হাবিবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, কাভার্ডভ্যানটি আটক করতে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করার চেষ্টা চলছে। আশা করি অল্প সময়েই পিকআপটি আটক করা সম্ভব হবে। এই ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।