Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাসপাতাল থেকে কারাগারে সম্রাট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সম্রাটকে কারাগারের সূর্যমুখী সেলে রাখা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট সূত্র জানায়, অসুস্থ সম্রাটকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে সকালে। পরে কারা-কর্তৃপক্ষ তাকে নিয়ে যায়। এর আগে গত মঙ্গলবার সম্রাট ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান কারারক্ষী সুবেদার মো. মুজাহিদুল ইসলাম। বুকে ব্যথা অনুভব করায় সম্রাটকে চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। তাকে প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। তার সমস্যার কথা শুনে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে সিসিইউতে পাঠান। সিসিইউতে যাওয়ার পর সম্রাটকে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক। মঙ্গলবার সকালেই সম্রাটকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।

হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট-এর এনআইসিভিডির সহযোগী অধ্যাপক ডা. মহসিন আহমেদ বলেন, সম্রাটের জন্য গঠিত ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সবাই সকালে তাকে দেখেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বোর্ডের সদস্যরা মনে করেন, তার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার জাহিদ জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদন্ড পাওয়া ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কারাগারে আনা হচ্ছে। গত রোববার ভোররাতে যুবলীগের নেতা সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হককে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আটক করে র‌্যাব। এরপর সম্রাটের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার দুপুরে তার কার্যালয় কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, ইয়াবা বড়ি, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, বৈদ্যুতিক শক দেয়ার দুটি যন্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়ে রোববার রাতে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে র‌্যাব। এর মধ্যে ঢাকার রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুই আইনে দুটি মামলা হয়েছে। আর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় আরমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে। রমনা থানায় দুটি মামলার মধ্যে একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও আসামি করা হয়। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ