পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সাগর কন্যা কুতুবদিয়া ও স্বর্ণদ্বীপ মহেশখালী অচিরেই হবে জাতীয় অর্থনীতির ধন-ভান্ডার। গতকাল শনিবার বিকেলে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন কুতুবদিয়া সফরকালে একথা বলেন। ওইদিন বিকেলে তিনি কুতুবদিয়া দ্বীপে আসেন এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছেন এসব প্রকল্পগুলো নির্দিষ্ট সময়ে সম্পন্ন হলে এখানকার অর্জিত আয় দিয়ে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর দেশ হিসেবে রূপান্তরিত করা যাবে। বিদেশ থেকে আর আমাদের সাহায্য চাইতে হবে না।
বর্তমানে লক্ষ কোটি টাকা ব্যয়ে যেসব প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, মহেশখালীর মাতারবাড়িতে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প, সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন, কুতুবদিয়া দ্বীপে এলএনজি টার্মিনাল, কক্সবাজার-টেকনাফ পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ, টেকনাফ সীমান্ত রক্ষাবাঁধ। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ হলে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পর্যটন রাজধানী কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি কুতুবদিয়া সফরকালে কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প, কুতুবদিয়া সমুদ্র সৈকত, কুতুবদিয়া বাতিঘর ও কুতুবদিয়ার অন্যতম পীর মরহুম আবদুল মালেক কুতুবী (রহ.) মাজার পরিদর্শন এবং কুতুব শরীফে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।
কুতুবদিয়া বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিদর্শনকালে ইনকিলাব সম্পাদকের কাছে স্থানীয় জনগণ অভিযোগ করেন, কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প কুতুবদিয়াবাসীকে এক ঘণ্টার জন্যও বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারে না। তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেছেন। কুতুবদিয়া সৈকত পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেন, ২ বছর আগে কুতুবদিয়াকে রক্ষার জন্য শতকোটি টাকার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে একাজ এখনো শেষ হয়নি।
তিনি গভীর সমুদ্রে বিদেশি ও দেশি জাহাজের দিক নির্দেশনার জন্য যে বাতিঘরটি রয়েছে তার বেহাল অবস্থা দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সাথে দ্বীপের উন্নয়নের ব্যাপারে কথা বলে ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন সরেজমিনে কুতুবদিয়া দ্বীপ পরিদর্শনে আসেন। ইনকিলাব সম্পাদক আরো জানান, আগামী শীত মৌসুমে ইনকিলাব সম্পাদককে সাথে নিয়ে অর্থমন্ত্রী কুতুবদিয়ার উন্নয়ন কাজগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনে আসবেন।
ইনকিলাব সম্পাদকের সাথে ইনকিলাবের আইটি সেক্টরের প্রধান সৈয়দ এ রহমান গালিব, কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা জাকের উল্লাহ চকোরী, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের কুতুবদিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও ইনকিলাবের কুতুবদিয়া উপজেলা সংবাদদাতা হাসান কুতুবী, বাংলাদেশের খবরের চকরিয়া প্রতিনিধি মো. সাইফুল ইসলাম খোকন, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইনকিলাব সম্পাদকের সাথে ছিলেন। তিনি কুতুবদিয়া যাবার পথে পেকুয়া উপজেলার কবির আহমদ চৌধুরীর বাজারের রাস্তায় দুই পাশে টমটম, সিএনজি, রিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ির যানজট দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, কুতুবদিয়া যাওয়ার পথে একটি সড়কে দু’মিনিটের রাস্তায় ভিআইপিদের আধাঘণ্টা যানজটে পড়তে হয়, যা প্রশাসনের ব্যর্থতা। এ ব্যাপারে তিনি থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। পরে তিনি কুতুবদিয়া দ্বীপের উন্নয়নের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরবেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।