পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেফতাররা হলো- শাহিন ওরফে ওমর, সাইফুল ইসলাম, আনিসুজ্জামান ওরফে বিপ্লব ও আল মামুন। সিটিটিসি বলছে, সুন্দরবনের করমজল ও বান্দরবানের আলীকদমে প্রশিক্ষণ শেষে তারা বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ঢাকায় আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি চাপাতিসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন- গ্রেফতারকৃতরা সংগঠনের আদর্শ অনুসারে কথিত হিজরত করে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সদস্য সংগ্রহ করে। পরে সদস্যদের নিয়ে সুন্দরবন করমজল এলাকায় একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেয়। পরে বান্দরবানের আলীকদম এলাকায় প্রায় একমাসব্যাপী প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পাহাড়ি এলাকায় প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে তারা সংগঠনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসে।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, নিরাপদে জঙ্গি কার্যক্রম চালানোর জন্য সংগঠনের সদস্যরা পাহাড়ি এলাকায় একটি কফিশপ চালু করেছিল। এছাড়া তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক মেসেঞ্জারে চ্যাট গ্রæপের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। সেখানেই তাদের বিভিন্ন ধরনের দিক নির্দেশনা দেওয়া হতো। তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত ৪ জনের নেতা শাহীন আলম। কথিত শায়েখের নির্দেশে তারা ট্রেনিং নিয়েছে। সাউথ কোরিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহীন আলম জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম ও নব্য জেএমবিকে এক করতে চেয়েছিল। তবে এ প্রচেষ্টা বেশি দূর এগুনোর আগেই তাকেসহ ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শাহীন আলম ছাড়া বাকি ৩ জনের একজন সাইফুল ইসলাম। সে একটি মাদ্রাসার ছাত্র এবং হানিফুজ্জামান ও আল মামুন কলেজের (এইচএসসি) ছাত্র। তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। চুয়াডাঙ্গা থেকে হানিফুজ্জামানের বিপ্লবের একটি জিডি পেয়েছে পুলিশ। যাওয়ার আগে তার এক বন্ধুর কাছে বলে গিয়েছিল যে, সে সুন্দরবন এলাকায় প্রশিক্ষণে যাচ্ছে।
সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার হওয়া মেজর জিয়ার সবশেষ অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেজর জিয়া বর্তমানে নিষ্ক্রিয় অবস্থায় আছেন। এ সংগঠনের সঙ্গে তার কতটুকু যোগাযোগ রয়েছে বা তিনি কী অবস্থায় আছেন সেটি জানার চেষ্টা চলছে। এটা জানার জন্য এই গ্রæপের শায়েখকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে আমাদের ধারণা তিনি এখন কিছুটা নিষ্ক্রিয়। কারণ তিনি যদি সক্রিয় থাকতেন তাহলে আমাদের ইন্টেলিজেন্সিতে তার বিষয়ে তথ্য উঠে আসতো।
আদালত সূত্র জানায, গতকাল তাদেকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারী পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।